চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং ছবি: সংগৃহীত
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বুধবার সকালে চীনা দূতাবাসের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। মি. জিমিং ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধকে দুঃখজনক ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, এতে অনেকের হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। চীন যুদ্ধের বিরোধিতা করে শান্তির সপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
রাষ্ট্রপুঞ্জসহ অন্যান্য বহু অনুষ্ঠানে এপ্রসঙ্গে আলোচনার সময় তাঁদের মতামত পরিষ্কার করেছেন। এটি চীনের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে গভীরভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে। লি জিমিং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান, নাকি সংকটকে উসকে দেওয়া ঠিক হবে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন। এই সংকট নিয়ে চীনের অবস্থান তুলে ধরে তিনি প্রশ্ন রাখেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উদ্বাস্তু হওয়া লোকজনের জন্য খাবার সরবরাহ, নাকি প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহ যৌক্তিক।
চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক আইন এবং সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত চর্চাগুলোকে সমর্থন করি, যেগুলো আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ও জাতিসংঘ সনদের মূল ভিত্তি। আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি, সব দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করতে হবে।’
লি জিমিং বলেন, চীন একটি অভিন্ন, সমন্বিত, সহযোগিতামূলক ও স্থায়ী নিরাপত্তার ভাবনাকে উৎসাহিত করে। রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই পক্ষেরই বৈধ নিরাপত্তার উদ্বেগগুলোর ভালোভাবে নিষ্পত্তি হলে ও বিদ্যমান সবচেয়ে বৃহৎ সামরিক জোট তার প্রতি সম্মান দেখালে সশস্ত্র সংঘাত এড়ানো যেত। স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা ও জোটকেন্দ্রিক সংঘাত-সংঘর্ষ বিশ্বের জন্য একটি অভিশাপ ছাড়া কিছুই নয়, পুনরায় এই সত্যের শিক্ষা লাভ করতে গিয়ে মানবতাকে এক বিশাল মূল্য দিতে হলো।
সংকটের সমাধানে আলোচনা ও মানবিক সহায়তায় বেইজিং শান্তি প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দিতে শান্তি আলোচনা উৎসাহিত করা এবং মানবিক সংকটের সমাধান এই দুটি অগ্রাধিকার নির্ধারণ করেছে। চীন ছয় দফার একটি মানবিক উদ্যোগ সামনে এনেছে এবং এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের যুদ্ধবিধ্বস্ত জনগণের জন্য কোটি কোটি ডলারের মানবিক সহায়তা দিয়েছে।