করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই রোহিঙ্গা ফেরানোর ইঙ্গিত: ড. মোমেন-ওয়াং ই ফোনালাপ
- আপডেট সময় : ০৭:৩২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০ ৭৮৮ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস রিপোর্ট
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে রোহিঙ্গাদের যাতে ফেরানো যায়, এমন ইঙ্গিত আসলো চীনের তরফে। আর সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে চীন। এ বিষয়ে মায়ানমারের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে চীন। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি থাকার কথাও ফের চীনকে আশ্বস্ত করেছে মায়ানমার। বৃহস্পতিবার সন্ধায় চীনের বিদেশমন্ত্রী ও স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই (Wang Yi)) এবং বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনকে ফোনাপে এ কথা জানিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মায়ানমারকে দ্রুত বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে বলেছে চীন। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীকে বিষয়টি অবহিত করে চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, মায়ানমারের নির্বাচনের পর প্রথমে রাষ্ট্রদূত পর্যায়ে এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ, চীন ও মায়ানমারের মন্ত্রী পর্যায়ের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ঢাকায় প্রস্তুতিমূলক সিনিয়র কর্মকর্তা পর্যায়ের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক দ্রুত শুরুর বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে চীন সরকার।
দুই বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ে ফোনালাপে করোনার টিকার প্রসঙ্গটিও ওঠে আসে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা ‘টীকা’ বাংলাদেশ পাবে তাও নিশ্চিত করেছেন চীনের বিদেশমন্ত্রী। করোনা পরবর্তীকালে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ ও চীন একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। করোনা মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে চীনের বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতি চীনের সাহায্য অব্যাহত থাকবে। করোনা মহামারির কারণে চীনের যেসব প্রকল্প স্থগীত বা ধীরগতি অবস্থায় রয়েছে, সেগুলো করোনার উন্নতি হলে দ্রুত শেষ করবে চীন।
ওয়াং ই-ড. মোমেন ফোনালাপকালে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের পিরোজপুরে ছিনতাইয়ের কবলে পরে চীনের একজন নাগরিকের প্রাণ হারায়। এ ব্যাপারে জড়িত প্রধান আসামীসহ দুইজনতে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চীনের বিদেশমন্ত্রী মনে করেন, এর দ্রুত বিচার এবং চীনের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপের ওপর চীন সরকার আস্থাশীল। এসময় ড. মোমেন উল্লেখ করেন, এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা হবে।
করোনা মহামারির কারণে আটকে পড়া চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রী ও গবেষকদের ভিসা নবায়নের বিষয়েও দুই বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের চীনে প্রবেশের বিষয়ে তার সরকার এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি জানিয়ে ওয়াং ই বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলে বাংলাদেশিদের অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা হবে। সেক্ষেত্রে ভিসা ও অন্যান্য বিষয়ের দ্রুত সমাধান হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটি চীনা ভাষায় অনুবাদের উদ্যোগ নেওয়ায় চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।