ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাবে পাকিস্তানের মানবাধিকার অবনতির নিন্দা

- আপডেট সময় : ০৬:৫৫:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১ ৭৮৭ বার পড়া হয়েছে
পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইনের অপব্যবহারের উদ্বেগজনক বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে জিএসপি + স্ট্যাটাসের পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব গৃহীত করা হয়েছে। ৭ মে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইএফএসএস (ইউরোপীয়ান ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিস)।
একদা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান চরমপন্থী ও সহিংস দল তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানের (টিএলপি) পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সে সময় ইসলামাবাদে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে ফ্রান্সে পাঠিয়ে দেওয়ারও দাবি উঠেছিল। পাকিস্তানের পার্লামেন্টে এ নিয়ে প্রস্তাবও উঠে।
যেটির তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। অবশ্য পিটিআই সরকার সম্প্রতি টিএলপিকে নিষিদ্ধ এবং এটিকে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান সরকার এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দ্বারা সৃষ্ট চাপকে প্রতিহত করতে অক্ষম। এমনকি দেশটির রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার পেছনে এই ধরনের কয়েক ডজন সংগঠনের উপস্থিতি ও সমৃদ্ধি রয়েছে। ইমরান খান ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি টিএলপির মতাদর্শের নিন্দা জানায়।
পাশাপাশি ব্লাসফেমিকে হোলোকাস্টের সমতুল্য করার আহ্বান জানান। এবং ইসলামের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরা অপপ্রচার ঠেকানোর জন্য ইউরোপকে চাপ দিতে ইসলামি দেশগুলোকে আহ্বান জানান।
ইউরোপীয় পার্লামেন্ট কর্তৃক গৃহীত প্রস্তাবটিতে জোর দেওয়া হয়েছে যে, পাকিস্তানের পরিস্থিতি ২০২০ সাল থেকে অব্যাহতভাবে অবনতির দিকে রয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, যেহেতু সরকার পরিকল্পিতভাবে ব্লাসফেমি আইন প্রয়োগ করছে এবং এর মধ্য দিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরকে রাষ্ট্র-বহিরাগতদের দ্বারা নির্যাতন থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
এ ছাড়া লক্ষ্যবস্তু হত্যাকাণ্ড, নিন্দার মামলা, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, ঘৃণার তীব্র বৃদ্ধি এবং আহমদী, শিয়া মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান এবং শিখ সহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বক্তব্য, অপহরণ, ধর্ষণ ও সংখ্যালঘু নারীদের জোরপূর্বক বিবাহ বিরাট হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।