ঢাকা ১০:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ ৯১৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কাশ্মীরে প্রথম ঝুলন্ত রেলসেতুর কাজ পুরোদমে চলছে

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক 

জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় ভারতের প্রথম ঝুলন্ত রেলসেতুটির নির্মাণ কাজ (অঞ্জি সেতু) পুরোদমে চলছে। কাজ শেষ হলে, সেতুটি ভারতীয় রেলওয়ের অন্যতম  ইঞ্জিনিয়ারিং নিদর্শন হয়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভারতের উত্তর রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, জম্মু ও কাশ্মীরের উত্তর রেলওয়ের অন্তর্গত উধমপুর-শ্রীনগর-বড়মুল্লা রেল লিঙ্ক রোডের আওতায় (ইউএসবিআরএল)  ‘অঞ্জি সেতুর’ কাজ পুরোদমে চলছে। রিয়াসি জেলার কৌরী গ্রামে কাত্রা-বনহাল রেললাইনে সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
তারা আরো জানান, সেতুটি চেনাব নদীপৃষ্ঠ থেকে ৩৫৯ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। এর উচ্চতা ফ্রান্সের প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের চেয়েও ৩০ মিটার বেশি। সেতুটি ২৬০ কি.মি. প্রতি ঘণ্টা বেগের বাতাসের গতি সহ্য করতে পারবে। এবং এর আয়ুষ্কাল ধরা হয়েছে ১২০ বছর।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, সেতুটিতে নদীর দুই তীরে ছাড়া আর কোথাও কোনো পিয়ার বা সাপোর্ট না থাকায় এটি বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম ঝুলন্ত সেতু। সেতুর ঝুলন্ত অংশ পিয়ার এবং তারের মাধ্যমে যুক্ত থাকবে। এদের মধ্যে একটি কনক্রিট ও ইস্পাতের সহায়ক পিলারের উচ্চতা ১৩৩ মিটার। ফিনল্যান্ড এবং জার্মানির পরামর্শকরা সেতুটির নকশা তৈরি করেছেন এবং নির্মাণকাজ করছে কোঙ্কন রেলওয়ে নামের একটি কম্পানি।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কাজ শেষ হলে অঞ্জি সেতু কাতরা এবং রেয়াসিকে সংযুক্ত করবে। অঞ্জি ঝুলন্ত সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৪৭৩.২৫ মিটার। ভায়াডাক্টটির দৈর্ঘ্য ১২০ মিটার এবং এর কেন্দ্রীয় বাঁধের দৈর্ঘ্য ৯৪.২৫ মিটার। এটি মোট ৯৬টি তারের মাধ্যমে ঝুলে থাকবে। সেতুর কংক্রিট স্তম্ভগুলো বিস্ফোরণ প্রতিরোধ করতে পারবে। এতে একটি ১.২ মিটার প্রশস্ত কেন্দ্রীয় প্রান্ত রয়েছে। এবং রেল চলার পথ ১৪ মিটার প্রশস্ত যাতে ডুয়েল লেন থাকবে।

উল্লেখ্য, ইউএসবিআরএল প্রকল্পের আওতায় মোট ৩৭টি সেতু তৈরি করা হবে। যার মধ্যে ২০টির কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। বাকি ১৭টির কাজও চলমান রয়েছে। এ ছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় ১৬৩ কিলোমিটার লম্বা একটি টানেল রয়েছে। এই টানেলের ১২৬ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকায় একযোগে কাজ চলছে।

সূত্র : আইএএনএস।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আপডেট সময় : ০৪:৫১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০

কাশ্মীরে প্রথম ঝুলন্ত রেলসেতুর কাজ পুরোদমে চলছে

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক 

জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় ভারতের প্রথম ঝুলন্ত রেলসেতুটির নির্মাণ কাজ (অঞ্জি সেতু) পুরোদমে চলছে। কাজ শেষ হলে, সেতুটি ভারতীয় রেলওয়ের অন্যতম  ইঞ্জিনিয়ারিং নিদর্শন হয়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভারতের উত্তর রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, জম্মু ও কাশ্মীরের উত্তর রেলওয়ের অন্তর্গত উধমপুর-শ্রীনগর-বড়মুল্লা রেল লিঙ্ক রোডের আওতায় (ইউএসবিআরএল)  ‘অঞ্জি সেতুর’ কাজ পুরোদমে চলছে। রিয়াসি জেলার কৌরী গ্রামে কাত্রা-বনহাল রেললাইনে সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
তারা আরো জানান, সেতুটি চেনাব নদীপৃষ্ঠ থেকে ৩৫৯ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। এর উচ্চতা ফ্রান্সের প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের চেয়েও ৩০ মিটার বেশি। সেতুটি ২৬০ কি.মি. প্রতি ঘণ্টা বেগের বাতাসের গতি সহ্য করতে পারবে। এবং এর আয়ুষ্কাল ধরা হয়েছে ১২০ বছর।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, সেতুটিতে নদীর দুই তীরে ছাড়া আর কোথাও কোনো পিয়ার বা সাপোর্ট না থাকায় এটি বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম ঝুলন্ত সেতু। সেতুর ঝুলন্ত অংশ পিয়ার এবং তারের মাধ্যমে যুক্ত থাকবে। এদের মধ্যে একটি কনক্রিট ও ইস্পাতের সহায়ক পিলারের উচ্চতা ১৩৩ মিটার। ফিনল্যান্ড এবং জার্মানির পরামর্শকরা সেতুটির নকশা তৈরি করেছেন এবং নির্মাণকাজ করছে কোঙ্কন রেলওয়ে নামের একটি কম্পানি।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কাজ শেষ হলে অঞ্জি সেতু কাতরা এবং রেয়াসিকে সংযুক্ত করবে। অঞ্জি ঝুলন্ত সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৪৭৩.২৫ মিটার। ভায়াডাক্টটির দৈর্ঘ্য ১২০ মিটার এবং এর কেন্দ্রীয় বাঁধের দৈর্ঘ্য ৯৪.২৫ মিটার। এটি মোট ৯৬টি তারের মাধ্যমে ঝুলে থাকবে। সেতুর কংক্রিট স্তম্ভগুলো বিস্ফোরণ প্রতিরোধ করতে পারবে। এতে একটি ১.২ মিটার প্রশস্ত কেন্দ্রীয় প্রান্ত রয়েছে। এবং রেল চলার পথ ১৪ মিটার প্রশস্ত যাতে ডুয়েল লেন থাকবে।

উল্লেখ্য, ইউএসবিআরএল প্রকল্পের আওতায় মোট ৩৭টি সেতু তৈরি করা হবে। যার মধ্যে ২০টির কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। বাকি ১৭টির কাজও চলমান রয়েছে। এ ছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় ১৬৩ কিলোমিটার লম্বা একটি টানেল রয়েছে। এই টানেলের ১২৬ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকায় একযোগে কাজ চলছে।

সূত্র : আইএএনএস।