ঢাকা ০৭:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

৩০ আসামির জামিন জালিয়াতি কান্ডে আইনজীবী গ্রেপ্তার

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:২৭:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১ ১২৫ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

৩০ আসামির জামিনের ব্যবস্থা করেন গ্রেপ্তারকৃত রাজু আহমেদ রাজীব। তার সঙ্গে জড়িত বগুড়ার আরেক আইজীবী তানজীম আলম মিসবাহ। জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত কম্পিউটার অপারেটর এবং আইনজীবীর এক সহকারী। জামিন জালিয়াতির ঘটনায় ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী রাজু আহমেদ রাজীবকে হাইকোর্টের একটি কক্ষ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে মামলার অন্য আসামিদের আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জামিন জালিয়াতি মামলায় এর আগে আইনজীবী সহকারী সোহগকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।

এর আগে গত ৯ জুন বগুড়ায় ৩০ আসামির জামিন জালিয়াতির ঘটনায় ২ আইনজীবীসহ চার জনের সম্পৃক্ততার বিষয়ে হাইকোর্টে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি। বুধবার  মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে হাজির হয়ে ঘটনার বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায়  সিআইডি কর্মকর্তা হাজির হয়ে আদালতকে তদন্তের অগ্রগতি জানান।

এর আগে পূর্ব নির্দেশনা অনুসারে হাজির হয়ে সিআইডি ইন্সপেক্টটর মো. সুলতান আদালতকে জানিয়েছেন, একই মামলায় পূর্বে গ্রেফতারকৃত আইনজীবীর সহকারী সোহাগের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আরও অনেকের নাম উঠে এসেছে। এরপর আদালত জড়িত সবাইকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন এবং মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১২ জুলাই দিন নির্ধারণ করেন। বুধবার  বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।  আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম মিতি।

সিআইডির ইন্সপেক্টটর মো. সুলতান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে জালিয়াতির পুরো ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে।  দুই আইনজীবীসহ চার জনের নাম উঠে এসেছে। এদের মধ্যে একজন ঢাকা কোর্টের আইনজীবী রাজু আহমেদ রাজীব ও বগুড়া আদালতের আইনজীবী তানজীম আলম মিসবাহ।  কম্পিউটার অপারেটর মাসুদ রানা ও আইনজীবীর সহকারী মো. সোহাগের দায় রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। জালিয়াতির ঘটনায় সোহাগকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোহাগ এরই মধ্যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল।

জামিন জালিয়াতি করে বগুড়ায় ৩০ আসামির জামিনের বিষয়টি ধরা পড়লে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তাদের গ্রেফতার করতে নির্দেশ দেওয়া হয় এবং প্রতিবেদন দিতে বলেন হাইকোর্ট। জড়িতদের গ্রেফতার করতে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি)  এবং  বগুড়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকেও বিষয়টি তদন্ত করতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট ।

জানা গেছে গত ৯ ফেব্রুয়ারি বগুড়ায় মোটর মালিক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১০ ফেব্রুয়ারি প্রায় পাঁচ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি  মামলা হয়। এর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহনের ছোট ভাই মশিউল আলম  দীপন বাদী হয়ে আমিনুর ইসলামকে প্রধান আসামি করে ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। পরে এ মামলায় জামিনের নথি জালিয়াতির ঘটনা ঘটে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

৩০ আসামির জামিন জালিয়াতি কান্ডে আইনজীবী গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০৮:২৭:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১

৩০ আসামির জামিনের ব্যবস্থা করেন গ্রেপ্তারকৃত রাজু আহমেদ রাজীব। তার সঙ্গে জড়িত বগুড়ার আরেক আইজীবী তানজীম আলম মিসবাহ। জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত কম্পিউটার অপারেটর এবং আইনজীবীর এক সহকারী। জামিন জালিয়াতির ঘটনায় ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী রাজু আহমেদ রাজীবকে হাইকোর্টের একটি কক্ষ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে মামলার অন্য আসামিদের আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জামিন জালিয়াতি মামলায় এর আগে আইনজীবী সহকারী সোহগকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।

এর আগে গত ৯ জুন বগুড়ায় ৩০ আসামির জামিন জালিয়াতির ঘটনায় ২ আইনজীবীসহ চার জনের সম্পৃক্ততার বিষয়ে হাইকোর্টে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি। বুধবার  মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে হাজির হয়ে ঘটনার বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায়  সিআইডি কর্মকর্তা হাজির হয়ে আদালতকে তদন্তের অগ্রগতি জানান।

এর আগে পূর্ব নির্দেশনা অনুসারে হাজির হয়ে সিআইডি ইন্সপেক্টটর মো. সুলতান আদালতকে জানিয়েছেন, একই মামলায় পূর্বে গ্রেফতারকৃত আইনজীবীর সহকারী সোহাগের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আরও অনেকের নাম উঠে এসেছে। এরপর আদালত জড়িত সবাইকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন এবং মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১২ জুলাই দিন নির্ধারণ করেন। বুধবার  বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।  আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম মিতি।

সিআইডির ইন্সপেক্টটর মো. সুলতান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে জালিয়াতির পুরো ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে।  দুই আইনজীবীসহ চার জনের নাম উঠে এসেছে। এদের মধ্যে একজন ঢাকা কোর্টের আইনজীবী রাজু আহমেদ রাজীব ও বগুড়া আদালতের আইনজীবী তানজীম আলম মিসবাহ।  কম্পিউটার অপারেটর মাসুদ রানা ও আইনজীবীর সহকারী মো. সোহাগের দায় রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। জালিয়াতির ঘটনায় সোহাগকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোহাগ এরই মধ্যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল।

জামিন জালিয়াতি করে বগুড়ায় ৩০ আসামির জামিনের বিষয়টি ধরা পড়লে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তাদের গ্রেফতার করতে নির্দেশ দেওয়া হয় এবং প্রতিবেদন দিতে বলেন হাইকোর্ট। জড়িতদের গ্রেফতার করতে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি)  এবং  বগুড়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকেও বিষয়টি তদন্ত করতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট ।

জানা গেছে গত ৯ ফেব্রুয়ারি বগুড়ায় মোটর মালিক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১০ ফেব্রুয়ারি প্রায় পাঁচ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি  মামলা হয়। এর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহনের ছোট ভাই মশিউল আলম  দীপন বাদী হয়ে আমিনুর ইসলামকে প্রধান আসামি করে ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। পরে এ মামলায় জামিনের নথি জালিয়াতির ঘটনা ঘটে।