২ হাজারের বেশি ব্যাংক হিসাবে ১৬ হাজার কোটি টাকা জব্দ

- আপডেট সময় : ০৮:৪৬:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৫৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার এবং লুটপাটের একটা শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছিলো ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে। তার হাত ধরে একটি ভয়ানক লুণ্ঠনকারী গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিলো। তারা বাংলাদেশের মতো একটি সম্ভবনাময় অর্থনীতির দেশকে পঙ্গু করে ছেড়েছে। চেতনা-গণতন্ত্রের নামে কার্যত লুটপাট চালিয়েছে।
২৪’শের জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাবার পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এর পরই টাকা পাচার এবং লুটপাটের চিত্র স্পষ্ট হতে থাকে।

বেশ কয়েকটি ব্যাংক থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এসব ব্যাংক গ্রাহকের চাহিদা মাফিক টাকা দিতে ব্যর্থ হয়। এমন অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বিপদগ্রস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।
এ অবস্থায় গেল বছরের ৫ আগস্টের পর নড়েচড়ে বসে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। দেশ থেকে অর্থপাচার ও অবৈধ লেনদেন ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নেয় সরকার। এর পর একে একে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের তালিকা লম্বা হতে থাকে।
৬ মাসে ১৬ হাজার কোটি টাকা জব্দ
হাসিনা সরকারের আমলে ফ্রি স্টাইল লুটপাটের ঘটনাকে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দলীয় নেতাকর্মীরাও ধিক্কার জানায়। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী নেত্রীর কর্মকান্ডে লজ্জায় মাথা নত করে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’র (বিএফআইইউ) তথা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী ২৪’শের ৫ আগস্টের পর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৭৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ২ হাজারের বেশি ব্যাংক হিসাবে ১৬ হাজার কোটি টাকা জব্দ করা হয়।
এসব জব্দ করা হিসাবের মধ্যে স্থান পেয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকি ববির হিসাব রয়েছে। রয়েছেন টাকা পাচারের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান এস আলম, সামিট, বেক্সিমকো গ্রুপ, বসুন্ধরা, ওরিয়ন, নাসা, জেমকন, নাবিল গ্রুপ এবং সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদসহ সাবেক সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।
হিসাবগুলো দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)-এর নির্দেশে এখনো জব্দ অবস্থায় রয়েছে।