ঢাকা ১২:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বামীকে খুনের ছক স্ত্রীর! সম্পন্ন করেন প্রেমিক ‘মসজিদে’র ইমাম

ভয়েস রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৯:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১ ২০০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আসমার প্রেমিক মসজিদের ইমাম আবদুর রহমান । যে আসমার স্বামী আজাহারকে খুন করে। পরে র‌্যাবের হাতে ধৃত

টানা ৩৩ বছর ধরে মসজিদে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন। সন্তান দীনি শিক্ষার তালিম দিতে ইমামকে বাসায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেন আসমা। আগে থেকেই ইমামের সঙ্গে তার পরকীয় চলে আসছিলো। স্ত্রীর পরকীয়ার বলি হতে হলো স্বামী আজাহারকে।

ইমাম স্থাযীভাবে পেতেই আসমা স্বামী আজাহারকে খুনের পরিকল্পনা করেন। ভাড়া খুনির দায়িত্ব দেন ইমাম ইমাম আব্দুর রহমানকে। কিন্তু ধূর্ত ইমাম আসমাকে বলে ‘ভাড়াটে গ্রুপ দিয়ে খুন করানো হলে, যে কোন সময় তা ফাঁস হয়ে পড়বে। তার চেয়ে আমি নিজেই দায়িত্ব পালন করবো। অর্থাৎ খুন করবো আজাহারকে।

স্বামী আজাহারকে খুনের পরিকল্পনাকারী স্ত্রী আসমা 

ঈদে আজাহার স্ত্রীক টাঙ্গাইলের বাড়িতে যান। সেখানে স্ত্রী আসমা ও একমাত্র সন্তান রেখে আসেন। গার্মেন্টস কর্মী আজাহার ৯ মে রাতে এশার নামাজ আদায় শেষে মসজিদের ইমাম আবদুর রহমানের কক্ষে যান। তিনি ইমামকে স্ত্রীর পরকীয়া নিয়ে কথা বলেন।

মসজিদের ইমাম আবদুর রহমান তার কক্ষে আজাহারকে খুনের পর এই ছোরা ও চাপাতি দিয়ে ৬টুকরো করে আজাহারের দেহ দেপটি ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখে। 

তখন ইমাম কক্ষে থাকা গরু জবাই করা বড় আকারের ছোরা দিয়ে আজাহারে গলা ও ঘাড়ে আঘাত করে। তাতে মারা যায় সে। এর ইমাম একাই আজাহারের দেহ ৬ টুকরো করে মসজিদের সেপটি ট্যাঙ্কে ফেলে রাখে।

র‌্যাব নিহতের স্ত্রী আসমা বেগমকে গ্রেফতারের পর সে খুনের পরিকল্পনার দায় স্বীকার করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

স্বামীকে খুনের ছক স্ত্রীর! সম্পন্ন করেন প্রেমিক ‘মসজিদে’র ইমাম

আপডেট সময় : ০৯:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১

আসমার প্রেমিক মসজিদের ইমাম আবদুর রহমান । যে আসমার স্বামী আজাহারকে খুন করে। পরে র‌্যাবের হাতে ধৃত

টানা ৩৩ বছর ধরে মসজিদে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন। সন্তান দীনি শিক্ষার তালিম দিতে ইমামকে বাসায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেন আসমা। আগে থেকেই ইমামের সঙ্গে তার পরকীয় চলে আসছিলো। স্ত্রীর পরকীয়ার বলি হতে হলো স্বামী আজাহারকে।

ইমাম স্থাযীভাবে পেতেই আসমা স্বামী আজাহারকে খুনের পরিকল্পনা করেন। ভাড়া খুনির দায়িত্ব দেন ইমাম ইমাম আব্দুর রহমানকে। কিন্তু ধূর্ত ইমাম আসমাকে বলে ‘ভাড়াটে গ্রুপ দিয়ে খুন করানো হলে, যে কোন সময় তা ফাঁস হয়ে পড়বে। তার চেয়ে আমি নিজেই দায়িত্ব পালন করবো। অর্থাৎ খুন করবো আজাহারকে।

স্বামী আজাহারকে খুনের পরিকল্পনাকারী স্ত্রী আসমা 

ঈদে আজাহার স্ত্রীক টাঙ্গাইলের বাড়িতে যান। সেখানে স্ত্রী আসমা ও একমাত্র সন্তান রেখে আসেন। গার্মেন্টস কর্মী আজাহার ৯ মে রাতে এশার নামাজ আদায় শেষে মসজিদের ইমাম আবদুর রহমানের কক্ষে যান। তিনি ইমামকে স্ত্রীর পরকীয়া নিয়ে কথা বলেন।

মসজিদের ইমাম আবদুর রহমান তার কক্ষে আজাহারকে খুনের পর এই ছোরা ও চাপাতি দিয়ে ৬টুকরো করে আজাহারের দেহ দেপটি ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখে। 

তখন ইমাম কক্ষে থাকা গরু জবাই করা বড় আকারের ছোরা দিয়ে আজাহারে গলা ও ঘাড়ে আঘাত করে। তাতে মারা যায় সে। এর ইমাম একাই আজাহারের দেহ ৬ টুকরো করে মসজিদের সেপটি ট্যাঙ্কে ফেলে রাখে।

র‌্যাব নিহতের স্ত্রী আসমা বেগমকে গ্রেফতারের পর সে খুনের পরিকল্পনার দায় স্বীকার করে।