ঢাকা ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সাহসী কণ্ঠ ছিলেন হেলাল হাফিজ: ড. ইউনূস ৭১’র স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহতের আহ্বান ইউনূসের বাংলাদেশের মসজিদ-মন্দির গির্জায় কোন পাহারা বসাতে হবে না ভারত থেকে ট্রেনে লপা ৪৬৮ টন আলু আমদানি দেশকে মেধাশূন্য করতে বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে ড. ইউনূস জাতীয় কবি ঘোষণার গেজেট প্রকাশের অনুমোদন পেলো ভারত বাংলাদেশের জনগণকে শত্রু বানাচ্ছে: বিজন কান্তি সরকার ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে ড. ইউনূসের বৈঠক, তাৎক্ষণিক সমাধানে প্রকৃত তথ্য জানতে হবে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে সাম্প্রদায়িক বিভেদকে প্রতিহত করতে হবে: প্রধান বিচারপতির হাসিনা সরকার আমলে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার!

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে নারীদের চ্যালেঞ্জ জয় করে এগিয়ে যেতে হবে : স্পিকার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মার্চ ২০২১ ২৩৩ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক 

মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদান অবিস্মরণীয় উল্লেখ করে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নারীদের সংকটপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলো জয় করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।  স্পিকার বলেন, এক্ষেত্রে জেসিআই বাংলাদেশ এর ‘উইমেন অফ ইন্সপাইরেসন ২০২১’ পুরস্কার নারীদের উৎসাহিত করার মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করবে।

জেসিআই (জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল) বাংলাদেশের উদ্যোগে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে অনুষ্ঠিত ‘উইমেন অফ ইন্সপাইরেসন ২০২১’ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নারীর আর্থ-সামাজিক অবদান অস্বীকার করা যাবে না। সমতাভিত্তিক সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রত্যেক নারীর মৌলিক অধিকার। টেকসই উন্নয়ন ২০৩০ সরাসরি নারী উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত। অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে লিঙ্গ সমতাভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহণ জরুরি। দারিদ্র্য, বৈষম্য, অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশ গ্রহণের সুযোগের অভাব পাশাপাশি নারী নেতৃত্বের অভাব একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। কোভিডকালীন সময়ে লিঙ্গ ভিত্তিক বৈষম্য বৃদ্ধির পাশাপাশি নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কোভিড সময়ে উদ্ভূত এধরণের সংকটপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলো উত্তরণ করে লিঙ্গ সমতা ভিত্তিক উন্নত ভবিষ্যৎ নির্মাণ তথা নারীর ক্ষমতায়নে উদ্ভাবনী নীতি ও কৌশল প্রণয়ন জরুরি।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নারীরা পরিবর্তনের কার্যকর নিয়ামক। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তার অনন্য দৃষ্টান্ত। কোভিডকালীন সময়ে অসামান্য নেতৃত্বের জন্য তিনি সম্প্রতি কমনওয়েলথ কর্তৃক ‘ইন্সপাইরেশনাল লিডারশিপ’ সম্মাননা অর্জন করেছেন যা জাতির জন্য গৌরবের। নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী নেতৃত্বের বিকাশে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালের জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি, পাসপোর্টে সন্তানের মায়ের নাম অন্তর্ভুক্তিকরণ, মায়ের মাধ্যমে সন্তানের নাগরিকত্ব প্রদান ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন যা নারীর অর্থনৈতিক-সামাজিক-সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। শুধু শহরেই নয়, গ্রাম পর্যন্ত তৃণমূল পর্যায়ে নারীরা আজ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের নারীবান্ধব বাজেট প্রণীত হচ্ছে। বর্তমান সংসদে পঞ্চাশ জন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ছাড়াও তেইশ জন নারী সংসদ সদস্য সরাসরি নির্বাচিত। নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ, তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সরকার বিস্তৃত করেছে।

জেসিআই বাংলাদেশের সহসভাপতি ইসমাত জাহান লিসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি এমপি, ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ, ইউএস এম্বাসির ডেপুটি চিফ অফ মিশন জোয়ান ওয়াগনার মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে নাসিমা আক্তার নিশা, টিনা এফ জেবিন, রাসনা ইমাম, সেজুতি সাহা, শাম্মা নাসরিন, নাহিতা নিশমিন, রুখমিলা জামান, ফারহানা রফিক উজ্জামান,কর্নেল ডাঃ জেবুন নাহার, প্রিমা নাজিয়া আন্দালিব, নাহিদ সুলতানা যুথি, সানজিদা হক আরেফিন লুনা, মাসুমা রহমান নাবিলাকে ‘উইমেন অফ ইন্সপাইরেসন ২০২১’ পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে নারীদের চ্যালেঞ্জ জয় করে এগিয়ে যেতে হবে : স্পিকার

আপডেট সময় : ০৫:৫২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মার্চ ২০২১

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক 

মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদান অবিস্মরণীয় উল্লেখ করে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নারীদের সংকটপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলো জয় করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।  স্পিকার বলেন, এক্ষেত্রে জেসিআই বাংলাদেশ এর ‘উইমেন অফ ইন্সপাইরেসন ২০২১’ পুরস্কার নারীদের উৎসাহিত করার মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করবে।

জেসিআই (জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল) বাংলাদেশের উদ্যোগে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে অনুষ্ঠিত ‘উইমেন অফ ইন্সপাইরেসন ২০২১’ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নারীর আর্থ-সামাজিক অবদান অস্বীকার করা যাবে না। সমতাভিত্তিক সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রত্যেক নারীর মৌলিক অধিকার। টেকসই উন্নয়ন ২০৩০ সরাসরি নারী উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত। অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে লিঙ্গ সমতাভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহণ জরুরি। দারিদ্র্য, বৈষম্য, অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশ গ্রহণের সুযোগের অভাব পাশাপাশি নারী নেতৃত্বের অভাব একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। কোভিডকালীন সময়ে লিঙ্গ ভিত্তিক বৈষম্য বৃদ্ধির পাশাপাশি নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কোভিড সময়ে উদ্ভূত এধরণের সংকটপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলো উত্তরণ করে লিঙ্গ সমতা ভিত্তিক উন্নত ভবিষ্যৎ নির্মাণ তথা নারীর ক্ষমতায়নে উদ্ভাবনী নীতি ও কৌশল প্রণয়ন জরুরি।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নারীরা পরিবর্তনের কার্যকর নিয়ামক। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তার অনন্য দৃষ্টান্ত। কোভিডকালীন সময়ে অসামান্য নেতৃত্বের জন্য তিনি সম্প্রতি কমনওয়েলথ কর্তৃক ‘ইন্সপাইরেশনাল লিডারশিপ’ সম্মাননা অর্জন করেছেন যা জাতির জন্য গৌরবের। নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী নেতৃত্বের বিকাশে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালের জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি, পাসপোর্টে সন্তানের মায়ের নাম অন্তর্ভুক্তিকরণ, মায়ের মাধ্যমে সন্তানের নাগরিকত্ব প্রদান ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন যা নারীর অর্থনৈতিক-সামাজিক-সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। শুধু শহরেই নয়, গ্রাম পর্যন্ত তৃণমূল পর্যায়ে নারীরা আজ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের নারীবান্ধব বাজেট প্রণীত হচ্ছে। বর্তমান সংসদে পঞ্চাশ জন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ছাড়াও তেইশ জন নারী সংসদ সদস্য সরাসরি নির্বাচিত। নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ, তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সরকার বিস্তৃত করেছে।

জেসিআই বাংলাদেশের সহসভাপতি ইসমাত জাহান লিসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি এমপি, ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ, ইউএস এম্বাসির ডেপুটি চিফ অফ মিশন জোয়ান ওয়াগনার মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে নাসিমা আক্তার নিশা, টিনা এফ জেবিন, রাসনা ইমাম, সেজুতি সাহা, শাম্মা নাসরিন, নাহিতা নিশমিন, রুখমিলা জামান, ফারহানা রফিক উজ্জামান,কর্নেল ডাঃ জেবুন নাহার, প্রিমা নাজিয়া আন্দালিব, নাহিদ সুলতানা যুথি, সানজিদা হক আরেফিন লুনা, মাসুমা রহমান নাবিলাকে ‘উইমেন অফ ইন্সপাইরেসন ২০২১’ পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।