সোমবার সিদ্ধান্ত , বিধিনিষেধ আরও বাড়ার আভাস

- আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১ ২০৫ বার পড়া হয়েছে
ছবি সংগ্রহ
করোনার সংক্রমণ বিস্তার রুখেতে চলমান লকডাউনের ১১তম দিনে রবিববার দেশে করোনায় সর্বোচ্চ ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৮৭৪ জন।
পরিস্থিতি যখন নাজুক ঠিক সেই সময় রবিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আভাস দিলেন, পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে বিধিনিষেধ আগামী ১৪ জুলাইয়ের পরও বহাল থাকবে। ঈদকে সামনে রেখে বিধিনিষেধ শিথিল হবে কি না, তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিধিনিষেধেরবিষয়ে সোমবার রাতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। পরেরদিন মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে। তিনি বলেন, করোনার যে সংক্রমণ পরিস্থিতি, সেটি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।
বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের দিকেই সরকার বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। সংক্রমণ এবার এমনভাবে ছড়িয়েছে, সেটা খুবই আশঙ্কাজনক।
১৪ জুলাইয়ের পরের সময়ও আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা এ সংক্রমণ কমাতে চাই, তাহলে বিভিন্ন পর্যায়ে এ প্রক্রিয়া কিন্তু অব্যাহত রাখতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু ঈদ এবং কোরবানির হাট রয়েছে, এ দুটির সমন্বয় কিভাবে করা গেলে সংক্রমণটি নিয়ন্ত্রণে থাকবে, সেটিই আমাদের মূল লক্ষ্য। হাটগুলোকে কত সুনিয়ন্ত্রিতভাবে করতে পারি সেটা নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে।
হাটগুলো নিরাপদ খোলা জায়গায়, যেখানে তিনটি গেট থাকতে পারে। একটি দিয়ে ক্রেতারা ঢুকবেন, তারা পশু কিনে নিয়ে আসবেন। আরেকটি দিয়ে পশু ঢোকানো হবে। হাটে নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রেতা ঢুকবে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে। সংক্রমণ ও মৃত্যু মাথায় রেখেই হাটে আসতে হবে।
হাটে অতিরিক্ত মানুষ যাতে না ঢোকে তা নিয়ন্ত্রণ করা ও হাঁট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। তিনি বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে গত বছর কোরবাণীর হাটকে ২৫ শতাংশ সক্ষমতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। এ বছর আরও বেশি সংখ্যক অনলাইন হাটগুলো উৎসাহিত করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এবারে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে।
করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ রোধে গত ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন চলছে। প্রথম ধাপে ৭ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়। পরে তা বাড়িয়ে ১৪ জুলাই করা হয়। রবিবার নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির পরামর্শে চলমান বিধিনিষেধ আবারও বাড়তে পারে।