সেপ্টেম্বরে ফের ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর

- আপডেট সময় : ০৯:১৫:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১ ১৫৫ বার পড়া হয়েছে
ফের রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর শুরু হবে ভাসানচরে। সময়টা সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ। বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রকে। সেখানেই স্থানান্তর বিষয়ে তথ্য দিলেন মন্ত্রকের সচিব মো. মোহসীন।
এর আগে বৈঠক সেরে নেন ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি জনস ভ্যান ডার কালাউ, আইএমের মিশন প্রধান গিওর্গি গিগাউরি, ডাব্লিউএফপি কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মি. রিচার্ড রেগানদের সঙ্গে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন সচিব মো. মহসিন। জানালেন কক্সবাজারে থাকা রোহিঙ্গাদের জায়গার সঙ্কটের কথা। ভাসানচরে একটি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের লক্ষ্য হচ্ছে, তাদের দেশে মান মানসম্মতভাবে ফেরত পাঠানো। সেই লক্ষ্যে সামনে রেখে কাজ করছে ইউএন। যেহেতু এটি দীর্ঘ প্রসেস, তাই আপাতত এই ব্যবস্থা।

রোহিঙ্গারা বর্তমানে পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করছে। কিছুদিন আগেও প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় অনেক জায়গায় দেয়াল ধসে গেছে। গত ৬ তারিখ মুখ্য সচিবসহ বৈঠক হয়েছে। ১০ জন অ্যাম্বাসেডর উপস্থিত ছিলেন। সেখানে রিপোর্টিং হয়েছে ভাসানচরে এই মূহুর্তে ১৮ হাজার ৮৯০ জন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী রয়েছে।
এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়ার টার্গেট রয়েছে সরকারের। এবিষয়ে মো. মোহসীন বলেন, কীভাবে এটি বাস্তবায়ন করা যাবে সেজন্যই কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রথম বৈঠক হলো এদিন। সেখানে আমরা একটি টাইমলাইন নির্ধারণ করেছি। ১৭ জুনের মধ্যে একটি পলিসি ডকুমেন্টের ড্রাফট তাদের পক্ষ থেকে দেবেন।
এর মধ্যেও আমরা ফরমালি আলাপ-আলোচনা করব। আরও একাধিক বৈঠকের প্রয়োজন হবে। সেগুলো শেষ করে আশা করছি সেপ্টেম্বরের শেষের দিক থেকে আমরা ফের রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে হাত লাগাতে পারবো।
ভাসানচরে নানা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। ভাসানচরে ব্যারাক হয়ে গিয়েছে। সেখানে ১২০টি সেল্টার রয়েছে। খাদ্য রাখার জন্য গুদামও তৈরি হয়েছে। যাতায়াতের জন্য চেয়ারম্যান ঘাটে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা চলছে। এছাড়া সেখানে ২০০-এর বেশি পুলিশ-এপিবিএন মোতায়েন রয়েছেন। পরবর্তীতে আনসার ব্যাটেলিয়ন নেয়া হবে।