আগস্ট মাস হচ্ছে বাঙালির শোকের মাস। এমাসের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এই শোকের মাসে অন্যতম কর্মসূচি হচ্ছে অসহায়, খেটে খাওয়া, দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়া আলোচনা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, মসজিদ-মন্দির-গির্জা-প্যাগোডায় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শোকের মাসের কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি
গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার ব্রিফিংকালে এ আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তথা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বঙ্গবন্ধু আজীবন গণমানুষের রাজনীতি করেছেন, তাই শোকের মাসে সাহায্যসামগ্রী নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
গ্রামে গ্রামে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, অনেকে শহর থেকে ভাইরাস বহন করে গ্রামে নিয়ে যেতে পারেন, এতে গ্রামের মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন মনে করে সেতুমন্ত্রী বলেন, এমতাবস্থায় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং ভিড় এড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। শতভাগ মাস্ক
পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কোনোরকম শৈথিল্য না দেখানোর বার্তাও দেন দলের সাধারণ সম্পাদক।
দেশের অধিকাংশ মহাসড়কে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করলেও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে টঙ্গী-গাজীপুর অংশে নির্মাণকাজের কারণে সংকুচিত হওয়ায় যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ার কথা জানান কাদের।
উত্তরবঙ্গগামী পণ্যবাহী যানবাহনসমূহ আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল-চন্দ্রা হয়ে চলাচল করলে টঙ্গী-গাজীপুর অংশে যানবাহনের চাপ কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, হালকা বর্ষণ ও মহাসড়কে ধীরগতির জন্য এবং কুরবানির পশুবাহী যানবাহনের কারণে কোথাও কোথাও চলাচলে ধীরগতি রয়েছে।
মন্ত্রী হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে দক্ষতার সঙ্গে পরিবহণ ও মহাসড়ক ব্যবস্থাপনায় দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন।
এসময় তিনি বলেন, যাত্রী পরিবহণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অনেক পরিবহণ নিয়ম ও শর্ত মেনে চলছে না। এ বিষয়ে কাদের বলেন,
পরিবহণ ও মালিকদের নিয়ম মেনে যাত্রী পরিবহণ করতে হবে। তা না হলে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিআরটিএকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।