গ্রেফতার তুহিন সিদ্দিক অমির সহযোগিরা ছবি সংগৃহীত
দুবাই, মলয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরে ভালো চাকরির লোভ দেখিয়েই শত শত মানুষকে বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন মো. তুহিন সিদ্দিক অমি (৩৩) ও তার সহযোগীরা। আর এভাবেই তারা হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদর সপ্তরে সাংবাদিক বৈঠকে এমন বিস্ফোরক তথ্যই জানালেন, ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক। মঙ্গলবার তিনি সাংবাদিকদের আরও জানান, এর আগে শনিবার রাঢাকার দক্ষিণখান থানায় অমি ও তার সহযোগীদের মানবপাচার চক্রের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলাটি সিআইডিকে হস্তান্তর করা হয়। এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে সিআইডি।
চিত্রনায়িকা পরী মনিকে হেনস্তার ও হত্যার চেষ্টার ঘটনায় ১৪ জুন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তুহিন সিদ্দিকী অমি।
এ বিষয়ে ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েকদিনের অভিযানে মানবপাচার চক্রের নয় সদস্যকে গ্রেফতার করেন তারা। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩৯৫টি পাসপোর্ট, পাচারকারী চক্রের মূলহোতা তুহিন সিদ্দিক অমির চারটি বিলাস বহুল গাড়ি, ২২টি কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক, সম্পত্তির দলিল, ক্রেডিট কার্ড, অলিখিত স্ট্যাম্প, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই, ব্যাংক কার্ড, পেনড্রাইভ ও মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, অমি ও তার সহযোগীরা শত-শত লোকজনকে অধিক বেতনে বিদেশে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করেছে। মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা ভুক্তভোগীদের প্রতিশ্রুতির পরও চাকরি না দিয়ে বিভিন্ন দেশে পাচার করে আসছিল। আরও অনেক নিরীহ লোকদের দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কথা বলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, মো.জসিম উদ্দিন (৩৬), মো. সালাউদ্দিন (৩৫), মো. মুসা (২৬), মো. রাকিবুল ইসলাম রানা (৩৩), মো. গোলাপ হোসেন বুলবুল (৩৪), মো. জাকির হোসেন (৩৪), মো. নাজমুল (২৫), মো. আলম (৩৫), ও শাহজাহান সরকার (৪৩)।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার খালিদুল হক হাওলাদার, বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর ও সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।