লাইভ স্ট্রিমিং অ্যাপ বিগো ও লাইকির মাধ্যমে মোটা দাগের অর্থপাচার

- আপডেট সময় : ০৬:০৮:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১ ২২২ বার পড়া হয়েছে
সিআইডির জালে’ এক ভিনদেশি ও নারীসহ পাঁচজন
লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ ‘লাইকি’ ও ‘বিগো লাইভ’র মাধ্যমে অবৈধভাবে দেশ থেকে প্রতি মাসে শত কোটি টাকা পাচার হবার বিস্ফোরক তথ্য দিলো সিআইডি। বিদেশি নাগরিকসহ একটি শক্তিশালী গ্রুপ একাজে হাত পাকিয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা ‘প্রতারণায়’ তথ্য-প্রযুক্তির নতুন নতুন অ্যাপ কাজে লাগিয়ে মোটা দাগের টাকা পাচার করেছে বিদেশে! অবশেষে প্রতারকদের একটা অংশ আটকালো সিআইডির জালে’। যেখানে এক ভিন দেশিও রয়েছে।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সদর দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এমন চমকপ্রদ তথ্য জানালেন, সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের ডিআইজি জামিল আহমেদ।
জানালেন অর্থপাচারের অভিযোগে এক বিদেশি নাগরিকসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছেন তারা।
অর্থপাচার চক্রের চমকপ্রদ তথ্য
জানা গেলো গ্রেফতার বিদেশি নাগরিক বিগো লাইভ ও লাইকির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। বাংলাদেশি নাগরিক মোস্তফা সাইফ রেজা বিগো লসিগের বাংলাদেশি অ্যাডমিন। মো. আরিফ হোসেন বাংলাদেশে বিভিন্ন মেয়েদের মাসিক বেতনে চাকরি দিয়ে বিগো লাইভের সঙ্গে যুক্ত করতেন।

এসএম নাজমুল হক ভার্চুয়াল মুদ্রা ডায়মন্ড বিক্রির অন্যতম প্রধান বাংলাদেশি এজেন্ট এবং আসমা উল হুসনা সেজুতী বিগো লাইভের প্রধান অ্যাডমিন। অ্যাডমিনরা মাসে এক লাখ টাকা করে বেতন পেতেন।
সাধারণত বাংলাদেশে ব্যবহৃত মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে এই ডায়মন্ড কেনা যায়। সেই মুদ্রা উপহার হিসেবে দিয়ে আড্ডায় যুক্ত হতে পারেন ব্যবহারকারীরা। যে যত বেশি ডায়মন্ড উপহার পান, লাইভে তিনি ততবেশি অশ্লীলতা করেন।
বাংলাদেশি লক্ষাধিক অ্যাপ ব্যবহারকারী ও প্রবাসী বাংলাদেশি অনলাইন ব্যাংকিং, হুন্ডি, ভার্চুয়াল মুদ্রা ও ব্যাংকের মাধ্যমে ডায়মন্ড কিনছেন। বাংলাদেশি এজেন্সিগুলো ডায়মন্ড কিনে আনে বিদেশি অ্যাডমিনদের কাছ থেকে। এসব এজেন্সি বিভিন্ন অবৈধ মাধ্যম ব্যবহার করে বিদেশে অর্থপাচার করে যাচ্ছে।
এর মাধ্যমে প্রতি মাসে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাবার কথা জানালেন সিআইডি ডিআইজি জামিল আহমেদ।