রোহিঙ্গা ডাকাতদের কবল থেকে ফিরে আসা শিক্ষার্থীরা ছবি সংগ্রহ
টেকনাফে দিন দিন রোহিঙ্গা ডাকাতের উৎপাদ বেড়েই চলেছে। তাদের হাতে মাঝে মধ্যেই অপহরণের ঘটনা বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে অপহরণের পর মুক্তিপণ না মিললে হত্যার ঘটনাও
ঘটছে। এসব কথা জানিয়ে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী পর্যটন এলাকায় পুলিশের টহল বাড়ানোর দাবি জানান।
শুক্রবার টেকনাফে বেড়াতে এসে রোহিঙ্গা ডাকাতের কবলে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন ৯ কলেজ ছাত্র। মুখোশধারী ডাকাতদল তাদের অপহরণ করে এবং পরে মারধোর করে মোবাইল ও অর্থ লুট
করে নিয়ে গেছে। শুক্রবার টেকনাফের পানখালী ঢালাস্থ পাহাড়ি স্বপ্নপুরি নামক ঝর্ণা এলাকার ঘটনা। মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুট করে তাদের ছেড়ে দেয় ডাকাতরা।
চেয়ারম্যান জানান, শিক্ষার্থীরা ঝর্ণায় গোষলে নামলে রোহিঙ্গা ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে। এতে কয়েকজন পালিয়ে গেলেও ৯ জনকে ধরে নিয়ে যায়। পরে মারধর এবং মোবাইল ফোন ও টাকা লুট করে তাদের এক ঘণ্টা পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
অপহরণের শিকার মিজানুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে পাহাড়ি স্বপ্নপুরি ঝর্ণায় বেড়াতে যায়। সেখানে হঠাৎ অস্ত্রধারী পাহাড়ি ডাকাতরা আমাদের ঘিরে ফেলে। এ সময়
কয়েকজন সহপাঠী পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। পরে কয়েকজনের কাছ থেকে মোবাইল, টাকা লুট করে নেওয়া হয়।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।