ঢাকা ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রপ্তানি বন্ধ করবে না ভারত, শুক্রবার দুই দেশের ব্যবসায়ীদের বৈঠক

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:১৭:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১ ২২৫ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধে ভারতের ব্যবসায়ীদের দেওয়া আল্টিমেটামের জবাব দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার  বাংলাদেশের হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের পক্ষ তরফে ভারতের হিলি এক্সপোর্টার এন্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস এসোসিয়েশন বরাবরে এই পত্র পাঠানো হয়েছে। তাতে আগামী শুক্রবার বিকাল নাগাদ উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা বৈঠকে বসবেন বসবেন এবং জটিলতা নিরসন করবেন।  সে পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রাখার কথা বলা হয়েছে।

বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, করোনা টিকা ও সনদ ছাড়াই ভারতীয় ট্রাক চালক ও হেলপাররা দীর্ঘদিন ধরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য নিয়ে প্রবেশ করায় দেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয় এবং এ কারণে বন্দর এলাকায় সংক্রমণ বেড়ে যায়। এ অবস্থায় ভারতীয় ট্রাক চালক ও হেলপাররা করোনা টিকা গ্রহণ করে তার সনদ নিয়ে প্রবেশ করে এজন্য ভারতের ব্যবসায়ীদের কাছে দাবি জানানো হয়।

কিন্তু তারা আমাদের কথায় কর্ণপাত করেনি। তখন আমরা গত এক সপ্তাহ থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা কমিয়ে ৫০টিতে করা হয়। এর আগে বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক আসতো ১৫০-২০০টির মতো।

এবিষয়ে ভারতের হিলি এক্সপোর্টার এন্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ধিরাজ অধিকারী বাবাই জানান, আমরা ৪ টি শর্ত দিয়ে বলেছি এই মুহূর্তে সকল ট্রাক চালক ও হেলপারদের টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ ভারত জুড়ে টিকার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে গত রবিবার বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের পত্র দিয়েছি।

তারা মঙ্গলবার আমাদের পত্রের জবাব দিয়ে  শুক্রবার বিকেল নাগাদ স্থলবন্দর গেটে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক আহ্বান করেছে। আমরা এ ব্যাপারে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় মিটিংয়ে  বসছি। দেখি মিটিংয়ে কি সিদ্ধান্ত হয়। তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করবো। শুক্রবার বিষয়টির সুরাহা না হলে শনিবার থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।

এদিকে হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমস উপ-কমিশনার কামরুল ইসলাম জানান, আগামী শুক্রবার উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা এ বিষয়ে আলোচনা করে সমাধান করবেন বলে  জআনিয়েছেন। আশা করছি আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হবে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে অবগত করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

রপ্তানি বন্ধ করবে না ভারত, শুক্রবার দুই দেশের ব্যবসায়ীদের বৈঠক

আপডেট সময় : ০৭:১৭:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১

 হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধে ভারতের ব্যবসায়ীদের দেওয়া আল্টিমেটামের জবাব দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার  বাংলাদেশের হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের পক্ষ তরফে ভারতের হিলি এক্সপোর্টার এন্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস এসোসিয়েশন বরাবরে এই পত্র পাঠানো হয়েছে। তাতে আগামী শুক্রবার বিকাল নাগাদ উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা বৈঠকে বসবেন বসবেন এবং জটিলতা নিরসন করবেন।  সে পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রাখার কথা বলা হয়েছে।

বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, করোনা টিকা ও সনদ ছাড়াই ভারতীয় ট্রাক চালক ও হেলপাররা দীর্ঘদিন ধরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য নিয়ে প্রবেশ করায় দেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয় এবং এ কারণে বন্দর এলাকায় সংক্রমণ বেড়ে যায়। এ অবস্থায় ভারতীয় ট্রাক চালক ও হেলপাররা করোনা টিকা গ্রহণ করে তার সনদ নিয়ে প্রবেশ করে এজন্য ভারতের ব্যবসায়ীদের কাছে দাবি জানানো হয়।

কিন্তু তারা আমাদের কথায় কর্ণপাত করেনি। তখন আমরা গত এক সপ্তাহ থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা কমিয়ে ৫০টিতে করা হয়। এর আগে বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক আসতো ১৫০-২০০টির মতো।

এবিষয়ে ভারতের হিলি এক্সপোর্টার এন্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ধিরাজ অধিকারী বাবাই জানান, আমরা ৪ টি শর্ত দিয়ে বলেছি এই মুহূর্তে সকল ট্রাক চালক ও হেলপারদের টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ ভারত জুড়ে টিকার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে গত রবিবার বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের পত্র দিয়েছি।

তারা মঙ্গলবার আমাদের পত্রের জবাব দিয়ে  শুক্রবার বিকেল নাগাদ স্থলবন্দর গেটে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক আহ্বান করেছে। আমরা এ ব্যাপারে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় মিটিংয়ে  বসছি। দেখি মিটিংয়ে কি সিদ্ধান্ত হয়। তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করবো। শুক্রবার বিষয়টির সুরাহা না হলে শনিবার থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।

এদিকে হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমস উপ-কমিশনার কামরুল ইসলাম জানান, আগামী শুক্রবার উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা এ বিষয়ে আলোচনা করে সমাধান করবেন বলে  জআনিয়েছেন। আশা করছি আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হবে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে অবগত করা হয়েছে।