ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক, ঢাকা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ৫০ বছর পালন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ দু’দিনের সফরে বাংলাদেশে পা রাখতে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মতুয়া সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান ওড়াকান্দি ঠাকুর বাড়ি পরিদর্শন করবেন। সফরকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। থাকবে স্তরের নিরাপত্তা বলয়। এখন চলছে নিরাপত্তা মহড়া।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে ঘিরে মতুয়াদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। মোদিকে উলুধ্বনি, শঙ্খ ও ডঙ্কা-কাঁসা বাজিয়ে বরণ করে নেবেন মতুয়ারা। এরই মধ্যে সকল প্রস্ততি সম্পন্ন করা হয়েছে। কর্মসূচি অনুযায়ী ২৭ মার্চ সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় যাবার কথা রয়েছে। সেখানে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ পরিদর্শন, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও গাছের চারা রোপণ করবেন।
বেলা সাড়ে ১১ টা নাগাদ কাশিয়ানীর ওড়াকান্দি ঠাকুর বাড়ি মন্দির পরিদর্শনে যাবেন। সেখানে তিনি হরি মন্দিরে পুজা ও মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এ উপলক্ষে ওড়াকান্দিতে তৈরি হয়েছে চারটি পৃথক হেলিপ্যাড। সংস্কার করা হচ্ছে রাস্তাঘাট। ঘরবাড়িতে চলছে রং-চুনকাম ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ঠাকুর বাড়িতে শ্রম দিচ্ছেন মতুয়া ভক্তরা।
ওড়াকান্দি হরিচাঁদ ঠাকুরের বাড়িতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন উপলক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে চারটি হেলিপ্যাড, ঠাকুরবাড়ির অভ্যন্তরে ৫শ’ মিটার এইচবিবি সড়ক, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের তিলছড়া থেকে ঠাকুরবাড়ি পর্যন্ত ৮ কিলোমিটারের বেশি পাকা সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া তিলছড়া রাহুথড় সড়ক থেকে ঠাকুরবাড়ি প্রবেশের জন্য ৬শ’ মিটার পাকা সড়ক সংস্কারের কাজেও শেষ আঁচর টানার অপেক্ষায়।
ঠাকুরবাড়ির অন্যতম সেবায়েত পদ্মনাভ ঠাকুর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে সেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ নানা আয়োজনে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টার থেকে নামার পর হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে আসবেন। সেখানে পূজা শেষে মন্দিরের সামনেই ঠাকুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। হরিচাঁদ ঠাকুরের ষষ্ঠ পুরুষ ও কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর জানান, নরেন্দ্র মোদিকে যথাযথ সম্মানের সঙ্গে বরণ করার সকল প্রস্তুতি তারা সম্পন্ন করেছেন।
বাংলাদেশ মতুয়া মহাসংঘের সভাপতি সীমা দেবী ঠাকুর বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমাদের এই ঠাকুরবাড়িতে আসছেন, এটা শুধু ঠাকুরবাড়ির গর্বের বিষয় নয়, সকল মতুয়ার কাছে গর্বের বিষয়। তিনি এলে আমরা হিন্দুধর্মীয় মতে উলুধ্বনি, শঙ্খ ও ডঙ্কা-কাঁসা বাজিয়ে তাঁকে স্বাগত জানানোর সব আয়োজন রেখেছি।
কাশিয়ানীর ইউএনও রথীন্দ্রনাথ রায় বলেন, আমরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওড়াকান্দি ভ্রমণের কর্মসূচি পেয়েছি। তাঁর ভ্রমণের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা জানিয়েছেন, বিদেশি ভিভিআইপির জন্য যে ধরণের প্রস্তুতি থাকা প্রয়োজন, তা নিয়েছেন তারা।