ঢাকা ০১:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেয়ের ধর্ষকই পেটালেন বাবাকে!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মে ২০২১ ২৬৩ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ধর্ষক নাসিরকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে : ছবি সংগৃহিত 

‘মেয়ের ধর্ষণের বিচার চাইতে গেলে হতভাগ্য মেয়ের বাবাকে পেটালেন ধর্ষক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা’ 

নবম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মোস্তাফিজুর রহমান নাসিরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার চাইতে গিয়ে ধষৃকের হাতে উল্টো মারধোরের শিকার হলেন নির্যাতিতার বাবা।

স্বজন ও নির্যাতিতা জানান, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচারণায় নামেন মোস্তাফিজুর রহমান নাসির। সেই হিসেবে দেড় মাস আগে শিক্ষার্থীর বাড়িতে গেলে, নাসিরের সঙ্গে শিক্ষার্থীর পরিচয় হয়।

একপর্যায়ে নাসির মাদ্রাসাছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন। গত ২১ মে সকালে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে নাসির তার এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে যায় এবং শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ নির্যাতিতা ও তার পরিবারের।

পরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে, সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনা মাদারীপুরের শিবচরের।

ধর্ষণের অভিযোগে আটক নাসির  ছবি সংগৃহিত

এদিকে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এলাকার মাদবরদের কাছে অভিযোগ দিয়ে কোনো বিচার পায়নি নির্যাতিতার পরিবার। পরে বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিযুক্ত নাসির।

সমাধানের কথা বলে নির্যাতিতার বাবাকে শনিবার সকালে মাদারীপুর শহরের একটি আবাসিক হোটেলে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে নাসিরকে আটক করে। পরে তাকে থানায় নিয়ে যায়।

নির্যাতিতা শিক্ষার্থীর অভিযোগ করে বলেন, নাসিরের কঠিন বিচার চাই। মেয়েটির বাবা জানান, নাসির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ও মাদারীপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক। সেজন্য এলাকায় তার খুব প্রভাব। মাদবরদের কাছে বিচার চেয়েও পাইনি। উল্টো নাসিরের হাতে মার খেতে হয়েছে।

মানবধিকারকর্মী সুবল বিশ্বাস বলেন, একটি বিষয় দুটি ঘটনার জন্ম দিয়েছে। এর কঠিন বিচার হওয়া দরকার।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মেয়েটির পরিবার এখনো থানায় আসেনি। ইতোমধ্যে সদর ওসি অভিযুক্ত নাসিরকে আটকের কথা মোবাইলে জানিয়েছেন। নাসিরকে থানায় নিয়ে আসতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবার অভিযোগ দিলে মামলা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মেয়ের ধর্ষকই পেটালেন বাবাকে!

আপডেট সময় : ০৬:৪৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মে ২০২১

ধর্ষক নাসিরকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে : ছবি সংগৃহিত 

‘মেয়ের ধর্ষণের বিচার চাইতে গেলে হতভাগ্য মেয়ের বাবাকে পেটালেন ধর্ষক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা’ 

নবম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মোস্তাফিজুর রহমান নাসিরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার চাইতে গিয়ে ধষৃকের হাতে উল্টো মারধোরের শিকার হলেন নির্যাতিতার বাবা।

স্বজন ও নির্যাতিতা জানান, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচারণায় নামেন মোস্তাফিজুর রহমান নাসির। সেই হিসেবে দেড় মাস আগে শিক্ষার্থীর বাড়িতে গেলে, নাসিরের সঙ্গে শিক্ষার্থীর পরিচয় হয়।

একপর্যায়ে নাসির মাদ্রাসাছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন। গত ২১ মে সকালে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে নাসির তার এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে যায় এবং শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ নির্যাতিতা ও তার পরিবারের।

পরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে, সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনা মাদারীপুরের শিবচরের।

ধর্ষণের অভিযোগে আটক নাসির  ছবি সংগৃহিত

এদিকে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এলাকার মাদবরদের কাছে অভিযোগ দিয়ে কোনো বিচার পায়নি নির্যাতিতার পরিবার। পরে বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিযুক্ত নাসির।

সমাধানের কথা বলে নির্যাতিতার বাবাকে শনিবার সকালে মাদারীপুর শহরের একটি আবাসিক হোটেলে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে নাসিরকে আটক করে। পরে তাকে থানায় নিয়ে যায়।

নির্যাতিতা শিক্ষার্থীর অভিযোগ করে বলেন, নাসিরের কঠিন বিচার চাই। মেয়েটির বাবা জানান, নাসির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ও মাদারীপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক। সেজন্য এলাকায় তার খুব প্রভাব। মাদবরদের কাছে বিচার চেয়েও পাইনি। উল্টো নাসিরের হাতে মার খেতে হয়েছে।

মানবধিকারকর্মী সুবল বিশ্বাস বলেন, একটি বিষয় দুটি ঘটনার জন্ম দিয়েছে। এর কঠিন বিচার হওয়া দরকার।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মেয়েটির পরিবার এখনো থানায় আসেনি। ইতোমধ্যে সদর ওসি অভিযুক্ত নাসিরকে আটকের কথা মোবাইলে জানিয়েছেন। নাসিরকে থানায় নিয়ে আসতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবার অভিযোগ দিলে মামলা হবে।