ছবি সংগ্রহ
হাসপাতালে ছুটোছুটি করছিল মেয়ে। কিছুতেই তার কান্না থামছিলো না। বার বার বলছিলো, আমার বাবার মৃতদেহটা আমাকে দিন। বাবা ধ্বংসস্তুপের নিচেই চাপা পড়ে আছে। বিকালেও মেয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে নিরাপত্তাকর্মী হারুনুর রশিদের (৭০)।
তার ঘন্টা দুই পরেই ভবনটি বিস্ফোরণের ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। তার নিচে চাপা পড়েই মারা যান তিনি। তিনদিনের মাথায় মঙ্গলবার অপরাহ্নে তার মরদেহ উদ্ধার করলো ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ভবনের নিরাপত্তাকর্মী ছিলো হারুনর রশিদ।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক (অপারেশন্স অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) দেবাশীষ বর্ধন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ভেতরে ধ্বংসস্তূপ থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা মো. রায়হান সংবাদমাধ্যমকে জানান, উদ্ধারের পর নিহত হারুনুর রশিদের মরদেহটি রমনা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, মগবাজারে বিস্ফোরণের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন মো. হারুন।
রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মগবাজারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে আশপাশের ১৪টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৮ জন নিহত ও বহু আহত হয়েছেন।
গুরুতর আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।