মৃত্যু ও শনাক্তে রেকর্ড বাংলাদেশে পরিস্থিতি খারাপের দিকেই গড়াচ্ছে

- আপডেট সময় : ১০:১৯:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১ ২১৭ বার পড়া হয়েছে
ছবি সংগ্রহ
করোনার সংক্রমণ রোধে ১জলাই থেকে কঠোর লকডাউন চলছে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে।
১১তম দিনে এসেও করোনার সংক্রমণ আরও ঊর্ধমুখি। প্রতিদিনই রেকর্ড গড়ে চলেছেন। এদিন মারা গিয়েছে ২৩০ জন এবং আক্রান্তর সংখ্যা ১১ হাজার ৮৭৪ জন।
ষোলমাসে এদিনই সর্বোচ্চ মানুষের মৃত্যু হলো।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রবিবার জানিয়েছে, একদিনে সর্বোচ্চ ২১২ জনের মৃত্যুর তথ্য ছিল গত ৯ জুলাই। একদিনে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৬৫১ জন রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল ৮ জুলাই। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪০ হাজার ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। পরীক্ষার আওতা যতটা বাড়ছে, সংক্রমণও ততই মাথা উঁচু করে দাড়াচ্ছে।

শনিবার শনাক্তর সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৭৭২ জন। আর মৃত্যু হয়েছিল ১৮৫ জনের। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ছিল ৩১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ২১ হাজার ১৮৯। আর মৃত বেড়ে ১৬ হাজার ৪১৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৫০১ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৬২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে খুলনা বিভাগে। ঢাকা বিভাগে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৬ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৯ জন, রাজশাহীতে ২৬ জন এবং রংপুর বিভাগে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা অন্যান্য বিভাগের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝার মাপকাঠি হচ্ছে শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। সেখানে বাংলাদেশে রোগী শনাক্তের হার কয়েক দিন যাবত ৩০ শতাংশের আশপাশে রয়েছে।