ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মা হবার বাসনায় জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন অনেক নারী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ এপ্রিল ২০২১ ২৪৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রতীকী ছবি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

চিত্রটা নির্ধারিত কোন স্থানের নয়। পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের যে কোন নারীর মা হবার বাসনা প্রবল। হাজারো ঝক্কিঝামেলা। তারপরও থেমে নেই বাসনা পূর্ণ করার তাগিদ। একজন নারী সন্তান জন্মদানের মধ্য দিয়ে পূর্ণাতা লাভ করেন, তার মনোবাসানা পূর্ণ করে থাকেন। একটা জীবন থেকে আরেকটা জীবন! ভাবা যায়! মা-ই নাকী ঈশ্বর?

গবেষকদের তথ্য মধ্যে গর্ভাশয় ও জরায়ুতে বিপজ্জনক সিস্ট, টিউমার নিয়ে মা হচ্ছেন অনেক নারী। এই অবস্থায় একজন মায়ের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে জীবননাশের আশঙ্কা থাকে। কিন্তু তারপরও মা হবার স্বপ্ন তাড়িয়ে বেড়ায় একজন নারীকে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে চিকিৎসাকরা পাশে থাকেন।

গর্ভাশয়ে টিউমার থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে এসব টিউমার নিরাপদ নয়। এ অবস্থায় অনেক মা সন্তান ধারণ করেন। আর চিকিৎসক মনে করেন সন্তান ভূমিষ্টকালে সেই টিউমার অপসারণ করার। কিন্তু গর্ভাবস্থায় ভ্রূণ বড় হওয়ার সঙ্গে টিউমারও বাড়তে থাকে। এতে তার বাচ্চার শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হতে পারে। তারপরও একজন নারী পৃথিবীর সবচেয়ে সুখকর অনুভূতির জন্য কষ্ট সহ্য করেন। তিনি যে মা।

তবে চিকিৎসকরা এটা বলেন, টিউমারের সঙ্গে সন্তান নেওয়া হলে শারীরিক নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। তখন একজন নারী উভয় সংকটের মধ্যেও সন্তান ধারণ করেন। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে। গর্ভাশয় ও জরায়ুতে বিপজ্জনক সিস্ট, টিউমার নিয়ে মা হওয়ার বিষয়ে চিকিৎসকরা বলেন, শিক্ষা ও পেশার দিকে নজর দিতে অনেকের দেরিতে বিয়ে হয়।

৩০ বছরের পর ৪০ শতাংশ নারীর টিউমার সিস্ট হতে পারে। এর সবই বিপজ্জনক নয়। বয়স টিউমার হওয়ার একটা কারণ হলেও অনেক কারণে নারীর গর্ভাশয় ও জরায়ুতে টিউমার, সিস্ট হতে পারে। বিপজ্জনক টিউমার নিয়ে মা হওয়ার ইচ্ছা পরিবার ও নারী পোষণ করে বলে জানান অবস্ট্রেটিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক সামিনা চৌধুরী।

তাঁর মতে মেয়েদের হরমোন ভারসাম্য তারতম্যের জন্য অনেক ধরনের সিস্ট, টিউমার হয়ে থাকে। কী ধরনের টিউমার নিয়ে গর্ভবতী হলে ঝুঁকি থাকে তা চিকিৎসকরা শুরুতেই চিহ্নিত করেন। এই সিস্ট বা টিউমার নিয়ে মা হওয়া সম্ভব কিনা তা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নির্ধারণ করেন। আমাদের দেশে জরায়ুতে ফাইব্রয়েড খুবই কমন বিষয়। তবে তিনি এটাও উল্লেখ করেন, অনেক মেয়েই ক্ষতিকর জেনেই এ অবস্থায় গর্ভধারণ করেন।

চিকিৎসা বিজ্ঞানিদের মতে মা হওয়া প্রত্যেক মেয়ের জীবনে বড় আক্সক্ষার। কিন্তু এ সব জটিলতা নিয়ে নানারকম ওষুধ খেয়ে মা হওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। এ সংখ্যা অনেক কম হলেও রয়েছে। এ সব রোগীর জন্য আজকাল অনেক আধুনিক চিকিৎসাও রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মা হবার বাসনায় জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন অনেক নারী

আপডেট সময় : ১১:৫৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ এপ্রিল ২০২১

প্রতীকী ছবি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

চিত্রটা নির্ধারিত কোন স্থানের নয়। পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের যে কোন নারীর মা হবার বাসনা প্রবল। হাজারো ঝক্কিঝামেলা। তারপরও থেমে নেই বাসনা পূর্ণ করার তাগিদ। একজন নারী সন্তান জন্মদানের মধ্য দিয়ে পূর্ণাতা লাভ করেন, তার মনোবাসানা পূর্ণ করে থাকেন। একটা জীবন থেকে আরেকটা জীবন! ভাবা যায়! মা-ই নাকী ঈশ্বর?

গবেষকদের তথ্য মধ্যে গর্ভাশয় ও জরায়ুতে বিপজ্জনক সিস্ট, টিউমার নিয়ে মা হচ্ছেন অনেক নারী। এই অবস্থায় একজন মায়ের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে জীবননাশের আশঙ্কা থাকে। কিন্তু তারপরও মা হবার স্বপ্ন তাড়িয়ে বেড়ায় একজন নারীকে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে চিকিৎসাকরা পাশে থাকেন।

গর্ভাশয়ে টিউমার থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে এসব টিউমার নিরাপদ নয়। এ অবস্থায় অনেক মা সন্তান ধারণ করেন। আর চিকিৎসক মনে করেন সন্তান ভূমিষ্টকালে সেই টিউমার অপসারণ করার। কিন্তু গর্ভাবস্থায় ভ্রূণ বড় হওয়ার সঙ্গে টিউমারও বাড়তে থাকে। এতে তার বাচ্চার শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হতে পারে। তারপরও একজন নারী পৃথিবীর সবচেয়ে সুখকর অনুভূতির জন্য কষ্ট সহ্য করেন। তিনি যে মা।

তবে চিকিৎসকরা এটা বলেন, টিউমারের সঙ্গে সন্তান নেওয়া হলে শারীরিক নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। তখন একজন নারী উভয় সংকটের মধ্যেও সন্তান ধারণ করেন। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে। গর্ভাশয় ও জরায়ুতে বিপজ্জনক সিস্ট, টিউমার নিয়ে মা হওয়ার বিষয়ে চিকিৎসকরা বলেন, শিক্ষা ও পেশার দিকে নজর দিতে অনেকের দেরিতে বিয়ে হয়।

৩০ বছরের পর ৪০ শতাংশ নারীর টিউমার সিস্ট হতে পারে। এর সবই বিপজ্জনক নয়। বয়স টিউমার হওয়ার একটা কারণ হলেও অনেক কারণে নারীর গর্ভাশয় ও জরায়ুতে টিউমার, সিস্ট হতে পারে। বিপজ্জনক টিউমার নিয়ে মা হওয়ার ইচ্ছা পরিবার ও নারী পোষণ করে বলে জানান অবস্ট্রেটিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক সামিনা চৌধুরী।

তাঁর মতে মেয়েদের হরমোন ভারসাম্য তারতম্যের জন্য অনেক ধরনের সিস্ট, টিউমার হয়ে থাকে। কী ধরনের টিউমার নিয়ে গর্ভবতী হলে ঝুঁকি থাকে তা চিকিৎসকরা শুরুতেই চিহ্নিত করেন। এই সিস্ট বা টিউমার নিয়ে মা হওয়া সম্ভব কিনা তা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নির্ধারণ করেন। আমাদের দেশে জরায়ুতে ফাইব্রয়েড খুবই কমন বিষয়। তবে তিনি এটাও উল্লেখ করেন, অনেক মেয়েই ক্ষতিকর জেনেই এ অবস্থায় গর্ভধারণ করেন।

চিকিৎসা বিজ্ঞানিদের মতে মা হওয়া প্রত্যেক মেয়ের জীবনে বড় আক্সক্ষার। কিন্তু এ সব জটিলতা নিয়ে নানারকম ওষুধ খেয়ে মা হওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। এ সংখ্যা অনেক কম হলেও রয়েছে। এ সব রোগীর জন্য আজকাল অনেক আধুনিক চিকিৎসাও রয়েছে।