ভোরের আলো ফুটতেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার যানজট

- আপডেট সময় : ১০:৪৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১ ২৮৩ বার পড়া হয়েছে
ফাইল ছবি
করোনার ঊর্ধমুখি সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে ঈদকে সামনে রেখে মাত্র সাতদিনের লকডাউন শিথিল করা হয়। এই ফাঁকা ঘরমুখো মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। যে যেভাবে পারছে বাড়ি ফিরছেন। সাধারণ মানুষ অনেকটা বেপরোয়াই বলতে হয়। করোনার সংক্রমণকে তোয়াক্কা করছেন না তারা। অনেক ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই।
কোরবাণীর পশুর হাটে গাদাগাদি করে মাস্ক ছাড়াই ক্রেতাবিক্রেতাদের মেলামেশা নিয়ে মহাদুশ্চিন্তায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।এরই মধ্যে বিভিন্ন আলোচনায় আশঙ্কার বিষয়টি রীতিমত আঙ্গুল তুলে চিহ্নি করে আলোচনা করছেন তারা। এ নিয়ে বিভিন্ন টেলিভিশনে হরহামেশাই আলোচনা চলছে।
ঈদে বাড়ি ফেরাই মানেই হচ্ছে, জাতীয় সড়কে লম্বা যানজট, ফেরিতে ওঠার দীর্ঘ অপেক্ষা, প্রতিটি যানবাহনে উপচে পড়া ভীর ইত্যাদি পরিচিত দৃশ্য।

ঢাকা থেকে বেড়িয়ে জাতীয় সড়ক ধরে এগুতে গিয়েই যানজটে পড়ছে হাজারো যানবাহন। কখনও ৫ ঘন্টা, আবার কখনও ১০ ঘন্টা যানজটে আটকে থাকছেন ঘরমুখো মানুষ। অতিরিক্ত
যানবাহনের চাপে রবিবার ভোরের আলো ফুটতেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট। এমন দুর্বিসহ ভোগান্তিকে সঙ্গী করেই ঘরে ফিরছেন মানুষ।
উত্তরবঙ্গ থেকে কোরবানির বোঝাই ট্রাক ঢাকায় আসার পথে ভোগান্তিতে পড়ছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা। ৬ ঘন্টার পথ তারা ২০ ঘন্টায় পেরুনো সম্ভব হচ্ছে না। যানবাহনের চাপ বেড়ে
যাওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে ভোররাত থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
মহাসড়কে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ নানা ধরণের যানবাহন। দফায় দফায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় বন্ধ ও সিরাজগঞ্জ অংশে পরিবহনগুলো চলাচলে বাঁধাপ্রাপ্ত হওয়াকে দায়ী করছে পুলিশ প্রশাসন।