বিয়ের ৫ দিনের মাথায় নোবেলের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা জানালেন আইনজীবী

- আপডেট সময় : ০৯:০৮:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫ ৪০ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের উদীয়মান কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল। নানা কারণে বিতকীত। ভারতের রিয়েলিটি শো সারেগামাপাতে অংশ নিয়ে গোপালগঞ্জের নোবেল সঙ্গীতাঙ্গণে জনপ্রিয়তা পান। কিন্তু পরবতী সময়ে নানা কারণে বিতকে জড়ান। তার উশৃঙ্খল জীব-যাপনের জন্য প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে। ইসরাত জাহার প্রিয়াকে বিয়ে করে গত এক বছর যাবত একসঙ্গে বসবাস করছিলেন তারা। কিন্তু তখন তাদের কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়নি। এর মধ্যে নোবেলের বিরুদ্ধে ধষণ মামলা ঠুকে দেন প্রিয়।
গত ২০ মে থেকে কারাগারে ছিলেন নোবেল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাদীকে সাত মাস একটি বাসায় আটকে ধর্ষণ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছিলেন এই শিল্পী। মামলার শুনানিতে গত ১৮ জুন (বুধবার) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক নাজমিন আক্তার নোবেলকে জামিন দেওয়ার শর্ত হিসেবে বাদীকে বিয়ের নির্দেশ দেন।
গত ১৯ জুন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকে কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলার বাদী ইসরাত জাহান প্রিয়াকে বিয়ে করেন অভিযুক্ত নোবেল। বিয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন উভয় পরিবারের কয়েকজন সদস্য। কারা সূত্রে জানা গেছে, বিয়েতে দেনমোহর নির্ধারণ করা হয় ১০ লাখ টাকা। সেই মামলায় কারাগারে রয়েছেন নোবেল।
আইনজীবী জানান, ভুল বোঝাবুঝির কারণে মামলাটি হয়েছে। এখন ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। গত ১৯ জুন কারাগারা কতৃপক্ষের উদ্যোগে ফের তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। যেখানে উভয় পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের ৫দিনের মাথায় প্রিয়া আন্তঃসত্ত্বার খবর জানান আইনজীবী খলিলুর রহমান। আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে এমন খবর জানতে পারেন নোবেল। এর আগে বেশ খোশ মেজাজে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে প্রবেশ করেন নোবেল।

কিছুক্ষণ পর হাস্যোজ্জ্বল মুখে উপস্থিত হন তার সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী ইসরাত জাহান প্রিয়া। তিনিই ছিলেন নোবেরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার বাদী। আদালতে ঢুকে কাঠগড়ায় থাকা নোবেলের কাছে যান তিনি। বেশ আনন্দচিত্তে তারা আলাপও করেন কিছুক্ষণ। দুপক্ষের আইনজীবী জানান, আদালতের নির্দেশে গত ১৯ জুন কারাফটকে বিয়ে করা নোবেল-প্রিয়ার সংসারে শিগগিরই নতুন মেহমান আসছে। অর্থাৎ, বাবা-মা হতে যাচ্ছেন তারা। সুখী ও নতুন জীবনের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন নোবেল ও প্রিয়া।
ডেমরা থানায় হওয়া নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি মামলায় এক হাজার টাকা বন্ডে সই করে জামিন পেয়েছেন নোবেল। এরপর নোবেলকে আদালত থেকে পুনরায় কারাগারে নিতে যায় পুলিশ। এ সময় সারাক্ষণ প্রিয়ার হাত ধরেই হাঁটছিলেন নোবেল। আদালতের লিফটে ওঠার সময়ও প্রিয়াকে সঙ্গে রাখেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পর জামিনের আদেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহাবুব। পরে প্রেস ব্রিফিংয়ে জামিনের বিষয়ে আপত্তি না থাকার কথা জানান প্রিয়া। তবে গায়ক নোবেল নিজে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি।