ঢাকা ০১:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে জমে থাকা গ্যাস

ভয়েস রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৮:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১ ২১৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকার মগবাজারে বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত ভবন

ঢাকার মগবাজার এলাকায় রবিবার রাত প্রায় পৌনে আটটার দিকে যে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে, সেই শরমা হাউজে কোন গ্যাস সংযোগ ছিলো না। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিলিন্ডর গ্যাস ব্যবহার করতেন। সেই সিলিন্ডারও অক্ষত! নাশকতার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে এমন বোমা বা বিস্ফোরকের কোনো অস্তিত্বও ঘটনাস্থলে মেলেনি। তাহলে, কিসের থেকে ঘটলো এমনি জোরালো বিস্ফোরণ ঘটনা।

ঘটনার পর থেকে দফায় দফায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, সরকারের একাধিক সংস্থা কর্মকর্তারা। তাদের ধারণা, ভবন বা আশপাশের স্যুয়ারেজ লাইন অথবা অন্য কোনো উৎস থেকে সৃষ্ট গ্যাস ভবনের আবদ্ধ কোনো স্থানে জমে গিয়েছিল।

রাস্তার উত্তর পাশে বিশাল সেন্টারের মেঝেতে আহতদের  রক্তের দাগ

আর সেই জমানো গ্যাসে কোনো না কোনো ভাবে আগুন বা আগুনের স্ফুলিঙ্গের সংস্পর্শে আসে। যে কারণে এই বিস্ফোরণ। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা একাধিক বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, বিস্ফোরণস্থলে মিথেন গ্যাসের গন্ধ পেয়েছেন তারা। স্যুয়ারেজের আবর্জনা ও স্তূপ করে রাখা ময়লা থেকে সাধারণত মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়ে থাকে।

ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, বিস্ফোরক পরিদপ্তর, পুলিশ সদর দপ্তর এবং তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আলাদা কমিটি করেছে। কমিটির সদস্যরা সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

বিশাল সেন্টারের ব্যবসায়ী

তারা সাংবাদিকদের বলেছেন, বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এ কারণে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্ফোরণের কারণ ও উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে গ্যাস কীভাবে এবং কোথায় জমেছে, এখনই নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিস্ফোরক পরিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, ঘটনাস্থলে হাইড্রোকার্বন গ্যাসের উপস্থিতি মিলেছে। সব ধরনের গ্যাসেই হাইড্রোকার্বন থাকে বলেও জানান তারা।

পুলিশ বলছে, ঘটনাস্থলে মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি ছিল। আর তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বলছে, বিধ্বস্ত ভবনসহ আশপাশের তিনটি ভবনে গ্যাস সংযোগ নেই।

 

বিশাল সেন্টারের অপর ব্যবসয়ী

রবিবার মগবাজার এলাকায় বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত সাতজন মারা গিয়েছেন। আহত দুই শতাধিক মানুষ। এখনো আটজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিস্ফোরণে মূল সড়কের পাশে তিনটি ভবন প্রায় বিধ্বস্ত হয়। আশপাশের অন্তত সাতটি ভবনের কাচ উড়ে গেছে। দুমড়েমুচড়ে গেছে রাস্তায় থাকা তিনটি বাস।

রাস্তার উত্তরপাশের বিশাল সেন্টার ব্যাপক ক্ষয়তি হয়েছে। কম বেশি বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজের বাম পায়ে কয়েকটি সেলাইল করতে হয়েছে। সিকিউরিটি গার্ড আফজাল গুরুতর আহত হয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে জমে থাকা গ্যাস

আপডেট সময় : ০৯:৪৮:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১

ঢাকার মগবাজারে বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত ভবন

ঢাকার মগবাজার এলাকায় রবিবার রাত প্রায় পৌনে আটটার দিকে যে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে, সেই শরমা হাউজে কোন গ্যাস সংযোগ ছিলো না। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিলিন্ডর গ্যাস ব্যবহার করতেন। সেই সিলিন্ডারও অক্ষত! নাশকতার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে এমন বোমা বা বিস্ফোরকের কোনো অস্তিত্বও ঘটনাস্থলে মেলেনি। তাহলে, কিসের থেকে ঘটলো এমনি জোরালো বিস্ফোরণ ঘটনা।

ঘটনার পর থেকে দফায় দফায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, সরকারের একাধিক সংস্থা কর্মকর্তারা। তাদের ধারণা, ভবন বা আশপাশের স্যুয়ারেজ লাইন অথবা অন্য কোনো উৎস থেকে সৃষ্ট গ্যাস ভবনের আবদ্ধ কোনো স্থানে জমে গিয়েছিল।

রাস্তার উত্তর পাশে বিশাল সেন্টারের মেঝেতে আহতদের  রক্তের দাগ

আর সেই জমানো গ্যাসে কোনো না কোনো ভাবে আগুন বা আগুনের স্ফুলিঙ্গের সংস্পর্শে আসে। যে কারণে এই বিস্ফোরণ। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা একাধিক বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, বিস্ফোরণস্থলে মিথেন গ্যাসের গন্ধ পেয়েছেন তারা। স্যুয়ারেজের আবর্জনা ও স্তূপ করে রাখা ময়লা থেকে সাধারণত মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়ে থাকে।

ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, বিস্ফোরক পরিদপ্তর, পুলিশ সদর দপ্তর এবং তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আলাদা কমিটি করেছে। কমিটির সদস্যরা সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

বিশাল সেন্টারের ব্যবসায়ী

তারা সাংবাদিকদের বলেছেন, বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এ কারণে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্ফোরণের কারণ ও উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে গ্যাস কীভাবে এবং কোথায় জমেছে, এখনই নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিস্ফোরক পরিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, ঘটনাস্থলে হাইড্রোকার্বন গ্যাসের উপস্থিতি মিলেছে। সব ধরনের গ্যাসেই হাইড্রোকার্বন থাকে বলেও জানান তারা।

পুলিশ বলছে, ঘটনাস্থলে মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি ছিল। আর তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বলছে, বিধ্বস্ত ভবনসহ আশপাশের তিনটি ভবনে গ্যাস সংযোগ নেই।

 

বিশাল সেন্টারের অপর ব্যবসয়ী

রবিবার মগবাজার এলাকায় বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত সাতজন মারা গিয়েছেন। আহত দুই শতাধিক মানুষ। এখনো আটজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিস্ফোরণে মূল সড়কের পাশে তিনটি ভবন প্রায় বিধ্বস্ত হয়। আশপাশের অন্তত সাতটি ভবনের কাচ উড়ে গেছে। দুমড়েমুচড়ে গেছে রাস্তায় থাকা তিনটি বাস।

রাস্তার উত্তরপাশের বিশাল সেন্টার ব্যাপক ক্ষয়তি হয়েছে। কম বেশি বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজের বাম পায়ে কয়েকটি সেলাইল করতে হয়েছে। সিকিউরিটি গার্ড আফজাল গুরুতর আহত হয়েছেন।