বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলনে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারের অঙ্গীকার

- আপডেট সময় : ১১:৩০:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১ ২২৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নয়নের অঙ্গিকার ব্যক্ত করে পাঁচ দিনব্যাপী ভার্চুয়াল সম্মেলন শুক্রবার শেষ হয়েছে। সীমান্তহত্যা, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক, শিশু ও নারী পাচারসহ পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ‘ফলপ্রসূ আলোচনা’ হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি সদর সপ্তর।
বিজিবি’র সংবাদ বার্তায় বলা জানানো হয়েছে, বিজিবি’র দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়ন চট্টগ্রাম রিজিয়ন সদর দফতরের ব্যবস্থাপনায় ভিডিও টেলিকনফারেন্সের (ভিটিসি) মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিজিবির চট্টগ্রাম, সরাইল ও কক্সবাজার রিজিয়ন এবং ময়মনসিংহ সেক্টরের রিজিয়ন কমান্ডাররা এবং বিএসএফের ত্রিপুরা, মিজোরাম ও কাচার, মেঘালয় এবং গৌহাটি ফ্রন্টিয়ারের ফ্রন্টিয়ার ইন্সপেক্টর জেনারেলরা যুক্ত নেন।

সংবাদ বার্তায় বলা হয়, সম্মেলনে বিজিবির দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তানভীর গনি চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ নেয়। অপরদিকে, বিএসএফ ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল শ্রী সুশান্ত কুমার নাথের নেতৃত্বে ভারতের সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
বিজিবি প্রতিনিধি দলের প্রধান দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে সীমান্ত সংক্রান্ত সকল সমস্যা সমাধানে উভয় বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার জোরদারের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। বিএসএফ প্রতিনিধি দলের প্রধানও তার কথার পুনরাবৃত্তি করে সীমান্ত সমস্যা সমাধান ও সম্পর্ক উন্নয়নে এ ধরনের সীমান্ত সম্মেলনের প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।
তিনি জানান, পরবর্তীতে সম্মেলনের আলোচ্যসূচি অনুযায়ী সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা বা গুলি বা আহত বা আক্রমণ, বাংলাদেশী নাগরিকদের অপহরণ বা আটক বা গ্রেফতার, বিএসএফ কর্তৃক সীমান্ত লঙ্ঘন বা অবৈধ অতিক্রম বা অনুপ্রবেশ, ভারতীয় অপরাধী বা চোরাকারবারী বা
দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা বিজিবি সদস্যদের উপর আক্রমণ, মাদক, অস্ত্র বা গোলাবারুদ ইত্যাদি চোরাচালান রোধ, নারী-শিশু পাচার প্রতিরোধ, ভারত কর্তৃক আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে নির্মাণ ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এবং সীমান্ত চুক্তির সঠিক অনুসরণসহ পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির বিষয়াদি নিয়ে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও স্বরাষ্ট্র এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করেন|