ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক, ঢাকা
বাংলাদেশে ফের করোনা গ্রাফ উর্ধমুখী হবে এব্যাপারে আগেভাগেই থেকেই দেশবাসীকে সচেতনতার ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের সকল হাসপাতালগুলো তৈরী রাখার নির্দেশনাও দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে প্রশাসনসহ সকল স্তরের মানুষদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে করোনার প্রাদুর্ভাব রুখতে করণীয় বিষয়ে নির্দেশনাও ছিল তার বার্তায়। এরই মধ্যে জনসমাগমস্থানে দৈহিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কিন্তু নানা বাহানায় মাস্ক না পরে বাইয়ে বেড়িয়ে পড়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক। সাধারণের উদাসিনতা এতই চোখে পড়ে যা প্রতিরোধে উদ্যোগ নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব) মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছেন।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে রাজধানীতে অভিযান শুরু করেছে বাহিনীটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিভিন্ন স্পটে প্রতিদিন চালানো হচ্ছে অভিযান। শুক্রবার ঢাকার জিগাতলা, শাহবাগ, কামরাঙ্গিরচর, মিরপুর রোড, ফার্মগেইটসহ বিভিন্ন এলাকায় চালানো হচ্ছে ধারাবাহিক অভিযান। এসময় মাস্ক ব্যবহার না করায় প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষকে জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করেছে র্যাব।
বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মাস্ক না পরলে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা, করোনা বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও মাস্ক বিতরণ করা হবে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সবার মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসুর নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়। এ সময় জনসাধারণের মাঝে বিনা মূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়।
পলাশ কুমার বসু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে সরকারি নির্দেশনা অনুসারে মাস্ক পরা নিশ্চিত করা ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অভিযান মাঠে নেমেছে র্যাব। প্রায় ৯ মাস অতিক্রম করেছে এই করোনা মহামারি। এখন মানুষ অনেকটা সচেতন। তার পরও যারা সচেতন হচ্ছেন না তাদের জরিমানা করা হচ্ছে।