ঢাকা ০১:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে নির্দিষ্ট সময় বলা সম্ভব হচ্ছে না

ভয়েস রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৪:০৪:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১ ২২২ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতীয় হাইকমিশনারকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান আখাউড়া ইউএনও রোমানা আক্তার।

‘ভ্যাকসিন উৎপাদন বাড়চ্ছে। ভারতের করোনা পরিস্থিতি এখনো বিপজ্জনক পর্যায়ে। তাই বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে নির্দিষ্ট সময় বলা সম্ভব হচ্ছে না’

বাংলাদেশকে ঠিক কবে করোনার টিকা দেওয়া হবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কোনো সময়-ক্ষণ বলেননি বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। দ্রুত সময়ের মধ্যে

যেন সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত টিকা সরবরাহ করা সম্ভব হয়, সে বিষয়ে আলোচনা করতে  যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এই কূটনীতিক।

রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী সংগীতা দোরাইস্বামীসহ স্বজনরা।

দোরাইস্বামী বলেন, আখাউড়া-আগরতলা রেললাইনের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে মাঝখানে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তার আশা চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এ রেলপথের কাজ শেষ হবে।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ছে উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, এ ক্ষেত্রে যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করা জরুরি। এ জন্য সড়ক সংযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই দেশ যৌথভাবে কাজ করছে। বর্তমানে আখাউড়া থেকে আশুগঞ্জ চার লেন মহাসড়কের নির্মাণকাজ চলমান

রয়েছে। এ কাজগুলো শেষ হলে দুই দেশের অর্থবাণিজ্যে ব্যাপক পরিবর্তনের সঙ্গে উভয় দেশ লাভবান হবে।

এর আগে আখাউড়া স্থলবন্দরে দুই দেশের শূন্যরেখায় ভারতীয় হাইকমিশনারকে স্বাগত জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমানা আক্তার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো.

মিজানুর রহমানসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। আগামী ২৩ জুলাই একই পথে তার কর্মস্থল ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর।

গত ২০ জুন বাংলাদেশকে সেরামের করোনার টিকা দেওয়ার বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার। টিকার উৎপাদন বাড়লে এ বিষয়ে অগ্রগতি জানা যাবে জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা করোনা

ভ্যাকসিন উৎপাদন বাড়চ্ছে। ভারতের করোনা পরিস্থিতি এখনো বিপজ্জনক পর্যায়ে। তাই বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে নির্দিষ্ট সময় বলা সম্ভব হচ্ছে না।

সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকার আপডেট বিষয়ে জানতে চাইলে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, আমরা টিকা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। যার জন্য আরও কয়েক সপ্তাহ সময়

লাগবে। সে সময়েই এ বিষয়ে বিবেচনা করা ভালো। এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে এখনো আলোচনা চলছে।

গত ৪ জানুয়ারি ভারতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছিল, তাদের টিকা রপ্তানির ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে অনুমতি পেতে কয়েক মাস লাগতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে নির্দিষ্ট সময় বলা সম্ভব হচ্ছে না

আপডেট সময় : ০৪:০৪:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১

ভারতীয় হাইকমিশনারকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান আখাউড়া ইউএনও রোমানা আক্তার।

‘ভ্যাকসিন উৎপাদন বাড়চ্ছে। ভারতের করোনা পরিস্থিতি এখনো বিপজ্জনক পর্যায়ে। তাই বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে নির্দিষ্ট সময় বলা সম্ভব হচ্ছে না’

বাংলাদেশকে ঠিক কবে করোনার টিকা দেওয়া হবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কোনো সময়-ক্ষণ বলেননি বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। দ্রুত সময়ের মধ্যে

যেন সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত টিকা সরবরাহ করা সম্ভব হয়, সে বিষয়ে আলোচনা করতে  যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এই কূটনীতিক।

রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী সংগীতা দোরাইস্বামীসহ স্বজনরা।

দোরাইস্বামী বলেন, আখাউড়া-আগরতলা রেললাইনের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে মাঝখানে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তার আশা চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এ রেলপথের কাজ শেষ হবে।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ছে উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, এ ক্ষেত্রে যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করা জরুরি। এ জন্য সড়ক সংযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই দেশ যৌথভাবে কাজ করছে। বর্তমানে আখাউড়া থেকে আশুগঞ্জ চার লেন মহাসড়কের নির্মাণকাজ চলমান

রয়েছে। এ কাজগুলো শেষ হলে দুই দেশের অর্থবাণিজ্যে ব্যাপক পরিবর্তনের সঙ্গে উভয় দেশ লাভবান হবে।

এর আগে আখাউড়া স্থলবন্দরে দুই দেশের শূন্যরেখায় ভারতীয় হাইকমিশনারকে স্বাগত জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমানা আক্তার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো.

মিজানুর রহমানসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। আগামী ২৩ জুলাই একই পথে তার কর্মস্থল ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর।

গত ২০ জুন বাংলাদেশকে সেরামের করোনার টিকা দেওয়ার বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার। টিকার উৎপাদন বাড়লে এ বিষয়ে অগ্রগতি জানা যাবে জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা করোনা

ভ্যাকসিন উৎপাদন বাড়চ্ছে। ভারতের করোনা পরিস্থিতি এখনো বিপজ্জনক পর্যায়ে। তাই বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে নির্দিষ্ট সময় বলা সম্ভব হচ্ছে না।

সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকার আপডেট বিষয়ে জানতে চাইলে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, আমরা টিকা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। যার জন্য আরও কয়েক সপ্তাহ সময়

লাগবে। সে সময়েই এ বিষয়ে বিবেচনা করা ভালো। এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে এখনো আলোচনা চলছে।

গত ৪ জানুয়ারি ভারতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছিল, তাদের টিকা রপ্তানির ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে অনুমতি পেতে কয়েক মাস লাগতে পারে।