ঢাকা ০৮:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু ছিলেন সত্যিকারের বন্ধু রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ মার্চ ২০২১ ২১৮ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তা পাঠান রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ : ছবি টিভি থেকে নেওয়া

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতিকে রাশিয়ার সত্যিকারের বন্ধু অভিহিত করলেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শুক্রবার ঢাকার জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ‘মুজিব চিরন্তন’ উৎসবের তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠানে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ধারণ করা ভিডিও বার্তা দেখানো হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে।

লাভরভ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সহযোগিতা এবং স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধুর মস্কো সফরের কথা তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এক অসামান্য নেতা অভিহিত করে তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন স্বীকৃতি দেওয়ার দুই মাসের কম সময়ের মাথায় ১৯৭২ সালের মার্চে তিনি রাশিয়া সফর করেন। সফরের মধ্য দিয়ে সমতা, পারস্পরিক স্বার্থ এবং একে অন্যের বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে সম্পর্কের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশকে রাজনৈতিক সমর্থন দেওয়ার পাশাপাশি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে সহায়তা দেওয়ার কথাও তুলে ধরে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অনুরোধে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত জাহাজ ও মাইন অপসারণে সোভিয়েত নৌবাহিনীর জাহাজ ১৯৭২ সালের এপ্রিলে এসেছিল। সোভিয়েত নৌবাহিনীর সদস্যরা তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাংলাদেশি বন্ধুরা সেই স্মৃতি অর্ধশতাব্দী ধরে ধারণ করছেন। আমাদের অভিন্ন ইতিহাস যথেষ্ট প্রশংসার দাবিদার। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে আমি প্রতীকী মনে করি। এই উদযাপনে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি শুভেচ্ছা।

লাভরভ স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের সাফল্যকে স্বাগত জানান এবং বলেন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের জোরালো একটি ভাবমূর্তিও গড়ে উঠেছে। ঢাকা সক্রিয়ভাবে দারিদ্র্য আর জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বিপুলসংখ্যক সেনা পাঠিয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তে সংঘাত বন্ধেও ভূমিকা রাখছে।

বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে দেখার কথা জানিয়ে লাভরভ বলেন, গত বছর করোনা মহামারির পরও দুই দেশের বাণিজ্য ১৫ শতাংশ বেড়েছে। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য গত বছর ২৪০ কোটি ডলার হওয়ার মধ্য দিয়ে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

দুই দেশের যৌথ বিনিয়োগে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কথা তুলে ধরে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। স্থানীয় জ্বালানি খাতে এটি নতুন প্রযুক্তির বিদ্যুৎ নিশ্চিত করবে।

রাশিয়া দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক সংলাপ অব্যাহত রাখা এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে চায় জানিয়ে লাভরভ বলেন, জনগণের স্বার্থে দুই দেশের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে বলে লাভরভ আশাবাদী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বঙ্গবন্ধু ছিলেন সত্যিকারের বন্ধু রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১০:২৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ মার্চ ২০২১

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তা পাঠান রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ : ছবি টিভি থেকে নেওয়া

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতিকে রাশিয়ার সত্যিকারের বন্ধু অভিহিত করলেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শুক্রবার ঢাকার জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ‘মুজিব চিরন্তন’ উৎসবের তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠানে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ধারণ করা ভিডিও বার্তা দেখানো হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে।

লাভরভ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সহযোগিতা এবং স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধুর মস্কো সফরের কথা তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এক অসামান্য নেতা অভিহিত করে তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন স্বীকৃতি দেওয়ার দুই মাসের কম সময়ের মাথায় ১৯৭২ সালের মার্চে তিনি রাশিয়া সফর করেন। সফরের মধ্য দিয়ে সমতা, পারস্পরিক স্বার্থ এবং একে অন্যের বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে সম্পর্কের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশকে রাজনৈতিক সমর্থন দেওয়ার পাশাপাশি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে সহায়তা দেওয়ার কথাও তুলে ধরে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অনুরোধে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত জাহাজ ও মাইন অপসারণে সোভিয়েত নৌবাহিনীর জাহাজ ১৯৭২ সালের এপ্রিলে এসেছিল। সোভিয়েত নৌবাহিনীর সদস্যরা তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাংলাদেশি বন্ধুরা সেই স্মৃতি অর্ধশতাব্দী ধরে ধারণ করছেন। আমাদের অভিন্ন ইতিহাস যথেষ্ট প্রশংসার দাবিদার। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে আমি প্রতীকী মনে করি। এই উদযাপনে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি শুভেচ্ছা।

লাভরভ স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের সাফল্যকে স্বাগত জানান এবং বলেন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের জোরালো একটি ভাবমূর্তিও গড়ে উঠেছে। ঢাকা সক্রিয়ভাবে দারিদ্র্য আর জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বিপুলসংখ্যক সেনা পাঠিয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তে সংঘাত বন্ধেও ভূমিকা রাখছে।

বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে দেখার কথা জানিয়ে লাভরভ বলেন, গত বছর করোনা মহামারির পরও দুই দেশের বাণিজ্য ১৫ শতাংশ বেড়েছে। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য গত বছর ২৪০ কোটি ডলার হওয়ার মধ্য দিয়ে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

দুই দেশের যৌথ বিনিয়োগে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কথা তুলে ধরে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। স্থানীয় জ্বালানি খাতে এটি নতুন প্রযুক্তির বিদ্যুৎ নিশ্চিত করবে।

রাশিয়া দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক সংলাপ অব্যাহত রাখা এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে চায় জানিয়ে লাভরভ বলেন, জনগণের স্বার্থে দুই দেশের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে বলে লাভরভ আশাবাদী।