ছবি: সংগৃহিত
বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে প্রজ্বলিত স্বাধীনতার দীপশিখা জ্বলবে অনন্তকাল। ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তনে পাদদেশে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিবসে বঙ্গবন্ধু স্মরণে প্রদীপ প্রজ্বলন
অনুষ্ঠানে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রবিবার একথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার, জাতীয় চার নেতা ও সকলর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্য মন্ত্রী বলেন, শিখা চিরন্তনের সামনে দাঁড়িয়ে প্রদীপ প্রজ্বলন কর্মসূচিটি তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই বাঙালি জাতিসত্তার জাগরণ এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার যে প্রদীপ প্রজ্বলন করে গিয়েছেন, সেই দীপশিখা অনন্তকাল ধরে জ্বলবে।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে এবং বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা হচ্ছে শুধু বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচারই নয়, জিয়াউর রহমানসহ যারা সেই হত্যাকাণ্ডের পটভূমি রচনা করেছিল
উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাদের মুখোশ উন্মোচিত
হওয়া। সেটি না হলে আমাদের ইতিহাস অসম্পন্ন হয়ে থাকবে, শত বছর পর নতুন প্রজন্ম সত্য জানতে পারবে না। সেকারণে একটি কমিশন গঠন করে পুরো ঘটনা প্রবাহ জাতির সামনে উন্মোচন করা আজ এগিয়ে নেওয়া আগস্টের প্রথম দিনে আমাদের প্রত্যাশা।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি সংগীতশিল্পী রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ প্রদীপ প্রজ্বলন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রের শব্দসৈনিক মনোরঞ্জন ঘোষাল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ,
আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, নাট্য অভিনেত্রী তারিন জাহান, সংগীতশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী প্রমুখ অংশ নেন।
এর পরপরই সচিবালয়ে নিজ দপ্তর থেকে ন্যাপ ভাসানী দলের ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।