ছবি সংগ্রহ
অসুস্থতার অজুহাতে কারা হাসপাতালের সেলে বসে জুম মিটিং কান্ড ফাঁস হয়ে পড়ার এ নিয়ে তোলপার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনায় ৪ প্রধান কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত ছাড়াও ৪ প্রধান কারারক্ষীসহ ১৭ কারারক্ষীকে প্রত্যাহার করা নিয়েছে কারাকর্তৃপক্ষ। এমএলএফ ব্যবসার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগে ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিনের সাজা ভোগ করছেন।
কারাগারে নিজের অসুস্থতার অজুহাতে হাসপাতালে প্রিজন সেলে নেওয়া হয়। সে বলেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে জুম মিটিং করেছেন।
কারা কর্তপক্ষা জানিয়েছেন, ঘটনায় কারারক্ষীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রজু করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটিকে সাতকর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করতে বলা হয়েছে। কারা কর্তপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, কারাবন্দি অবস্থায় অসুস্থতার অজুহাতে হাসপাতালে থাকা ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
রফিকুল আমিনের মোবাইল ফোন ব্যবহার ও জুম মিটিংয়ে অংশ নেওয়ার ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেলের প্রধান কারারক্ষী, সহকারী প্রধান কারারক্ষী ও ৬ জন কারারক্ষীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে কারা কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত বলেন, প্রাথমিকভাবে বিএসএমএমইউ’র প্রিজন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালের প্রিজন সেলে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের জন্য একজন ডেপুটি জেলার নিয়োগ দেবেন তারা। গত দুই মাস ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজনসেলে চিকিৎসাধীন রয়েচেন রফিকুল আমিন।
হাসপাতালে থাকার কারণ হিসেবে ‘ডায়াবেটিসের সমস্যা’ উল্লেখ করেছেন তিনি। রফিকুল আমিন কারাবিধি ভেঙে জুম মিটিং করেন এমন তথ্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এর পর পরই বিষয়টি নজরে আসে এবং তোলপাড় সৃষ্টি হয়। অথচ হাসপাতালে বসে তিনি দিব্যি ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন তিনি। মোবাইল-ইন্টারনেট ব্যবহার করে জুম অ্যাপে নিয়মিত মিটিংও করে চলেছেন।
দু’টি মিটিংয়ের একটি করেছেন এ বছরের মে মাসে ও আরেকটি জুন মাসে। ভিডিওতে দেখা গেছে রফিকুল আমিন ডেসটিনির মতোই নতুন আরেকটি এমএলএম ব্যবসার বিষয়ে আলোচনা করছেন। ইতোমধ্যে সেই ব্যবসা শুরুও করেছেন তিনি। ব্যবসার জন্য শিগগিরই ১ হাজার ৩০০ মার্কেটিং এজেন্ট নিয়োগের কথা বলেছেন। জুম মিটিংয়ের রেকর্ড করা ভিডিওতে রফিকুল আমিনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি সেখানে ‘মিস্টার এ’ নামে রেজিস্ট্রি করেছেন।
তার প্রোফাইল ছবিতে ইংরেজি বর্ণের বড় হাতের ‘জ (আর)’ লেখা। ব্যবসার বিষয়ে আলাপকালে তার নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে তাকে কথা বলতে শোনা গেছে। এছাড়া নতুন ব্যবসায় ধীরগতির বিষয়ে মিটিংয়ে রফিকুল আমিন বলেন, কেরানীগঞ্জে (কারাগারে) যাওয়ার কারণে সেই কাজটা পিছিয়ে গেছে।