ঢাকা ১০:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এক মানবিক পিতা এরশাদ আলী মোড়লের গল্প আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস হাসিনা সরকারের করা হয়রানিমূলক ১০ হাজার মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে জুলাই আন্দোলনের পর জব্দ করা অর্থ জনকল্যানে ব্যয় করা হবে ভারতীয় দালালির চেতনাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে চালিয়েছে আওয়ামী লীগ: মামুনুল হক ভারতের বড় যুদ্ধবিমান ঘুড়ির মতো ভেঙেছে পাকিস্তান গভীর রাতে ঢাকাসহ যে ১৫ অঞ্চলে বজ্র-বৃষ্টির আভাস বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টির অভিযোগে বরখাস্ত সৈনিক নাইমুল গ্রেপ্তার ভারত থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে বিজিবির হাতে ১৭জন আটক ফারাক্কাই দায়ী: বরেন্দ্র অঞ্চল কারবালায় পরিণত : ফরিদা আখতার

প্রতিথযশা বাচিক শিল্পী সুস্মিতা মুখার্জী দাস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪৭:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ৪৫০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সময়টা মার্চ মাস হলে সূর্য থাকতো ঠিক মাথার ওপরে। মাঘ মাস শেষ হতে চললো। শেষ সময়ে শীতে কাঁপিয়েছে বেশ। এখনই দুপুরের সূর্যতাপ ফাল্গুনের কথা মনে করিয়ে দেয়। এক বড় দাকে সঙ্গে নিয়ে ভরদুপুরে কফি পান করছি। সঙ্গে অতি দরকারী আলাপ। এমন সময়ই মুঠো ফোনের স্কীনে ভেসে ওঠলো একবন্ধুর নাম্বার। মোলায়েম কণ্ঠে নিজের পরিচয় দিয়ে বললেন, দাদা কেমন আছেন? সোমা দি নাম্বারটি দিয়ে আপনার সঙ্গে আলাপ করতে বললেন। নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করলাম। কারণ, এই অধমের সঙ্গে আলাপ, সেও আবার পরশি দেশ থেকে!
যাই হোক। জানা গেল তিনি একজন বাচিক শিল্পী। দরদী কণ্ঠ। বড় মিশুক বোঝা গেল।

 

আর হবেই বা না কেন? ভাবজগতের বাসিন্দা বলে কথা। আচার-আচরণে রুচিসম্মত-আধুনিক। ভাবনার জগতটা বেশ বড়। নীড় ছোট কথাটি উল্টো করে বললে, বলা যায় ‘নীড় বড়, আকাশ সম’। মায়াবি মসৃণ চেহারা। কণ্ঠে বেশ শক্তি। শুভ্রুা ঘোষের ‘প্রিয় নেতাজী’ আবৃত্তি করলেন। বেশ লেগেছে। মনে হয়েছে, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ পেরিয়ে এক আগন্তুকের আগমন মায়ের কোলে। সে গোটা ভারতবর্ষের শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিজের জীবন উৎসর্গ করতে চায়। জাগিয়ে তুলতে চায় ভারতবাসীকে। দেশমাতৃকাকে মুক্ত করার ডাক অখন্ড ভারতের নানা প্রান্তে আছড়ে পড়েছিলো। তাঁর আজাদীর মন্ত্রে দীক্ষিত মাস্টার দা সূর্যসেন জ্বলে ওঠেছিলেন। ভারতবর্ষে প্রথম সশস্ত্রবিপ্লবের মহানায়ক মাস্টার দা সূর্য্যসেন বৃটিশদের কবল থেকে তিন দিন চট্টগ্রামকে মুক্ত রেখেছিলেন। পরে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি বৃটিশরাজ। দেহের সঙ্গে লৌহখন্ড বেধে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করেছিলো। যাতে সাথীরা এই মহান বিপ্লবীর দেহ না পায়।


প্রিয় নেতাজী এবং তাঁর অনুসারীরা বেচে থাকবেন চিন দিন। তাঁদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদে হাজারো লেখা কবিতা-নাটক হবে। যা দিনের পর দিন আমাদের প্রেরণাকে আরও শাণিত করবে। বাচিক শিল্পীর কণ্ঠে প্রতিবাদের বদলে এবারে শোনা গেলো প্রেমের কবিতা। সমর দত্ত’র আবহে সঙ্গীতের সঙ্গে কবি রাম প্রসাদের বিসর্জন কবিতা সিঁদুর খেলার সঙ্গে মিলেমিশে যেন একাকার হয়ে গেল। প্রতিথযশা বাচিক শিল্পী সুস্মিতা মুখার্জী দাস’র কণ্ঠে আগামীতে আরও কবিতা এবং অনুষ্ঠান প্রত্যাশার দাবি রাখে।

ঋদ্ধিমান

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

প্রতিথযশা বাচিক শিল্পী সুস্মিতা মুখার্জী দাস

আপডেট সময় : ১২:৪৭:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সময়টা মার্চ মাস হলে সূর্য থাকতো ঠিক মাথার ওপরে। মাঘ মাস শেষ হতে চললো। শেষ সময়ে শীতে কাঁপিয়েছে বেশ। এখনই দুপুরের সূর্যতাপ ফাল্গুনের কথা মনে করিয়ে দেয়। এক বড় দাকে সঙ্গে নিয়ে ভরদুপুরে কফি পান করছি। সঙ্গে অতি দরকারী আলাপ। এমন সময়ই মুঠো ফোনের স্কীনে ভেসে ওঠলো একবন্ধুর নাম্বার। মোলায়েম কণ্ঠে নিজের পরিচয় দিয়ে বললেন, দাদা কেমন আছেন? সোমা দি নাম্বারটি দিয়ে আপনার সঙ্গে আলাপ করতে বললেন। নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করলাম। কারণ, এই অধমের সঙ্গে আলাপ, সেও আবার পরশি দেশ থেকে!
যাই হোক। জানা গেল তিনি একজন বাচিক শিল্পী। দরদী কণ্ঠ। বড় মিশুক বোঝা গেল।

 

আর হবেই বা না কেন? ভাবজগতের বাসিন্দা বলে কথা। আচার-আচরণে রুচিসম্মত-আধুনিক। ভাবনার জগতটা বেশ বড়। নীড় ছোট কথাটি উল্টো করে বললে, বলা যায় ‘নীড় বড়, আকাশ সম’। মায়াবি মসৃণ চেহারা। কণ্ঠে বেশ শক্তি। শুভ্রুা ঘোষের ‘প্রিয় নেতাজী’ আবৃত্তি করলেন। বেশ লেগেছে। মনে হয়েছে, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ পেরিয়ে এক আগন্তুকের আগমন মায়ের কোলে। সে গোটা ভারতবর্ষের শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিজের জীবন উৎসর্গ করতে চায়। জাগিয়ে তুলতে চায় ভারতবাসীকে। দেশমাতৃকাকে মুক্ত করার ডাক অখন্ড ভারতের নানা প্রান্তে আছড়ে পড়েছিলো। তাঁর আজাদীর মন্ত্রে দীক্ষিত মাস্টার দা সূর্যসেন জ্বলে ওঠেছিলেন। ভারতবর্ষে প্রথম সশস্ত্রবিপ্লবের মহানায়ক মাস্টার দা সূর্য্যসেন বৃটিশদের কবল থেকে তিন দিন চট্টগ্রামকে মুক্ত রেখেছিলেন। পরে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি বৃটিশরাজ। দেহের সঙ্গে লৌহখন্ড বেধে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করেছিলো। যাতে সাথীরা এই মহান বিপ্লবীর দেহ না পায়।


প্রিয় নেতাজী এবং তাঁর অনুসারীরা বেচে থাকবেন চিন দিন। তাঁদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদে হাজারো লেখা কবিতা-নাটক হবে। যা দিনের পর দিন আমাদের প্রেরণাকে আরও শাণিত করবে। বাচিক শিল্পীর কণ্ঠে প্রতিবাদের বদলে এবারে শোনা গেলো প্রেমের কবিতা। সমর দত্ত’র আবহে সঙ্গীতের সঙ্গে কবি রাম প্রসাদের বিসর্জন কবিতা সিঁদুর খেলার সঙ্গে মিলেমিশে যেন একাকার হয়ে গেল। প্রতিথযশা বাচিক শিল্পী সুস্মিতা মুখার্জী দাস’র কণ্ঠে আগামীতে আরও কবিতা এবং অনুষ্ঠান প্রত্যাশার দাবি রাখে।

ঋদ্ধিমান