ঢাকা ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পোল্ট্রি শিল্পের বাজার যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করে সিন্ডিকেট

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা
  • আপডেট সময় : ০৮:৪১:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৭৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প দীর্ঘদিন ধরে দেশের প্রাণিজ আমিষের অন্যতম প্রধান উৎস হিসেবে ভূমিকা রেখে চলেছে। একসময় এই শিল্পের নিয়ন্ত্রণ ছিল ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারিদের হাতে, যারা স্থানীয়ভাবে ডিম ও মুরগির উৎপাদন নিশ্চিত করত। কিন্তু বর্তমানে কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে ক্ষুদ্র খামারিরা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছে না।

এমন পরিস্থিতিতে ছোট খামারিরা ধীরে ধীরে উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে, যা সরাসরি দেশের ডিম ও মুরগির বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বাজারে সংকট দেখা দেওয়ায় একদিকে সাধারণ মানুষকে চড়া দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে, অন্যদিকে অনেকের কর্মসংস্থান বন্ধ হচ্ছে। বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার ফেসবুকে এ কথা লিখেন।

যেভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে সিন্ডিকেট

১. খাদ্য ও বাচ্চার বাজার নিয়ন্ত্রণ: কর্পোরেট কোম্পানিগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে ব্রিডিং ফার্ম ও ফিড মিল তৈরি করে খাদ্য ও বাচ্চার দাম ইচ্ছেমতো নির্ধারণ করছে। ফলে ক্ষুদ্র খামারিদের উৎপাদন ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাচ্ছে।

২. বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি: কখনো অতিরিক্ত সরবরাহ করে দাম কমিয়ে দেওয়া হয়, কখনো সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানো হয়। এতে ক্ষুদ্র খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তারা ধীরে ধীরে বাজার থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হয়।

৩. নিজেদের খামার প্রতিষ্ঠা করা: আগে কর্পোরেট কোম্পানিগুলো শুধু খাদ্য ও বাচ্চার ব্যবসা করত, কিন্তু এখন তারা নিজেরাই খামার খুলে ক্ষুদ্র খামারিদের প্রতিযোগিতার বাইরে ঠেলে দিচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

পোল্ট্রি শিল্পের বাজার যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করে সিন্ডিকেট

আপডেট সময় : ০৮:৪১:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প দীর্ঘদিন ধরে দেশের প্রাণিজ আমিষের অন্যতম প্রধান উৎস হিসেবে ভূমিকা রেখে চলেছে। একসময় এই শিল্পের নিয়ন্ত্রণ ছিল ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারিদের হাতে, যারা স্থানীয়ভাবে ডিম ও মুরগির উৎপাদন নিশ্চিত করত। কিন্তু বর্তমানে কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে ক্ষুদ্র খামারিরা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছে না।

এমন পরিস্থিতিতে ছোট খামারিরা ধীরে ধীরে উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে, যা সরাসরি দেশের ডিম ও মুরগির বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বাজারে সংকট দেখা দেওয়ায় একদিকে সাধারণ মানুষকে চড়া দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে, অন্যদিকে অনেকের কর্মসংস্থান বন্ধ হচ্ছে। বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার ফেসবুকে এ কথা লিখেন।

যেভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে সিন্ডিকেট

১. খাদ্য ও বাচ্চার বাজার নিয়ন্ত্রণ: কর্পোরেট কোম্পানিগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে ব্রিডিং ফার্ম ও ফিড মিল তৈরি করে খাদ্য ও বাচ্চার দাম ইচ্ছেমতো নির্ধারণ করছে। ফলে ক্ষুদ্র খামারিদের উৎপাদন ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাচ্ছে।

২. বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি: কখনো অতিরিক্ত সরবরাহ করে দাম কমিয়ে দেওয়া হয়, কখনো সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানো হয়। এতে ক্ষুদ্র খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তারা ধীরে ধীরে বাজার থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হয়।

৩. নিজেদের খামার প্রতিষ্ঠা করা: আগে কর্পোরেট কোম্পানিগুলো শুধু খাদ্য ও বাচ্চার ব্যবসা করত, কিন্তু এখন তারা নিজেরাই খামার খুলে ক্ষুদ্র খামারিদের প্রতিযোগিতার বাইরে ঠেলে দিচ্ছে।