ঢাকা ০৬:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নড়াইলে ২ কোটি টাকা নিয়ে ‘লাপাত্তা’ ব্যাংক এজেন্ট

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:২০:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১ ১০৯ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নড়াইলে ব্যাংক এশিয়ার চাঁচুড়ি বাজারের এজেন্ট খায়রুল বাশার প্রায় ২ হাজার গ্রাহকের ৩ মাসে বিদ্যুৎ বিলের ৫ লক্ষাধিক টাকা এবং জামানতের ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। ব্যাংকে আমানতের টাকা জমা হয়নি এই খবর পেয়ে গ্রাহকেরা হতাশ হয়ে ভিড় করছেন ব্যাংকের এজেন্ট অফিসে। ব্যাংক থেকে গোপনে কম্পিউটার সরানো এবং ৫০হাজার টাকা ভাড়া বকেয়া পড়ায় ভবন মালিক ব্যাংকে তালা মেরে দিয়েছেন।

ব্যাংক এশিয়া সূত্রে জানা যায়, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ী বাজার শাখাটি ২০১৯ সালের জুন মাসে স্থাপন হয়। স্থানীয় চন্দ্রপুর গ্রামের খায়রুল বাশার এজেন্ট হিসাবে নিয়োগ পান। বর্তমানে শাখাটিতে ডিপিএস, মেয়াদি আমানত ও সঞ্চয়ী হিসাব মিলে ১ হাজার ৩০০ গ্রাহক নিয়মিত লেনদেন করেন। এর মধ্যে বেশীরভাগই মেয়াদি আমানতের গ্রাহক। প্রতি মাসে ২ হাজারেরও বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে থাকেন।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ব্যাংকটিতে পল্লী বিদ্যুতের বিল নেয়া শুরু হয়। আশেপাশের ৪ ইউনিয়নের প্রায় ২ হাজার গ্রাহক এখানে বিদ্যুৎ বিল জমা দেন। মার্চ মাস থেকে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া আসতে থাকায় গ্রাহকেরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন জমাকৃত বিলের টাকা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জমা হয়নি। এই অবস্থা পরবর্তী এপ্রিল ও মে মাসে চলতে থাকে। বিদ্যুৎ বিলের ঘাপলার কারণে ধীরে ধীরে বের হতে থাকে অন্য জামানতের টাকার হিসাব।

ব্যাংকিং পদ্ধতির বাইরে নিজ উদ্যোগে গ্রাহককে এককালীন জামানতে মাসিক বেশি অর্থ প্রদানের লোভ দেখিয়ে কয়েক’শ গ্রাহকের কাছ থেকে এককালীন জামানত নিয়ে ব্যাংকে জমা না দিয়ে নিজে হাতিয়ে নেন। এমনকি এজেন্ট অফিসে ১০ থেকে ১২ জন কর্মী নিয়োগ দিয়ে তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২/৪ লক্ষ টাকা করে নিয়েছেন এজেন্ট কাম এমডি খায়রুল বাশার।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নড়াইলে ২ কোটি টাকা নিয়ে ‘লাপাত্তা’ ব্যাংক এজেন্ট

আপডেট সময় : ০৬:২০:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১

নড়াইলে ব্যাংক এশিয়ার চাঁচুড়ি বাজারের এজেন্ট খায়রুল বাশার প্রায় ২ হাজার গ্রাহকের ৩ মাসে বিদ্যুৎ বিলের ৫ লক্ষাধিক টাকা এবং জামানতের ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। ব্যাংকে আমানতের টাকা জমা হয়নি এই খবর পেয়ে গ্রাহকেরা হতাশ হয়ে ভিড় করছেন ব্যাংকের এজেন্ট অফিসে। ব্যাংক থেকে গোপনে কম্পিউটার সরানো এবং ৫০হাজার টাকা ভাড়া বকেয়া পড়ায় ভবন মালিক ব্যাংকে তালা মেরে দিয়েছেন।

ব্যাংক এশিয়া সূত্রে জানা যায়, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ী বাজার শাখাটি ২০১৯ সালের জুন মাসে স্থাপন হয়। স্থানীয় চন্দ্রপুর গ্রামের খায়রুল বাশার এজেন্ট হিসাবে নিয়োগ পান। বর্তমানে শাখাটিতে ডিপিএস, মেয়াদি আমানত ও সঞ্চয়ী হিসাব মিলে ১ হাজার ৩০০ গ্রাহক নিয়মিত লেনদেন করেন। এর মধ্যে বেশীরভাগই মেয়াদি আমানতের গ্রাহক। প্রতি মাসে ২ হাজারেরও বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে থাকেন।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ব্যাংকটিতে পল্লী বিদ্যুতের বিল নেয়া শুরু হয়। আশেপাশের ৪ ইউনিয়নের প্রায় ২ হাজার গ্রাহক এখানে বিদ্যুৎ বিল জমা দেন। মার্চ মাস থেকে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া আসতে থাকায় গ্রাহকেরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন জমাকৃত বিলের টাকা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জমা হয়নি। এই অবস্থা পরবর্তী এপ্রিল ও মে মাসে চলতে থাকে। বিদ্যুৎ বিলের ঘাপলার কারণে ধীরে ধীরে বের হতে থাকে অন্য জামানতের টাকার হিসাব।

ব্যাংকিং পদ্ধতির বাইরে নিজ উদ্যোগে গ্রাহককে এককালীন জামানতে মাসিক বেশি অর্থ প্রদানের লোভ দেখিয়ে কয়েক’শ গ্রাহকের কাছ থেকে এককালীন জামানত নিয়ে ব্যাংকে জমা না দিয়ে নিজে হাতিয়ে নেন। এমনকি এজেন্ট অফিসে ১০ থেকে ১২ জন কর্মী নিয়োগ দিয়ে তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২/৪ লক্ষ টাকা করে নিয়েছেন এজেন্ট কাম এমডি খায়রুল বাশার।