ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে সর্বোচ্চ মৃত্যু সীমান্তবর্তী রাজশাহী বিভাগে

- আপডেট সময় : ০৭:১৭:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১ ২২০ বার পড়া হয়েছে
ছবি সংগ্রহ
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গেল একমাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখলো সীমান্তবর্তী রাজশাহী বিভাগ। এসময়ে ৯৩৫ জন মারা গিয়েছেন। যাদের মধ্যে করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্তর সংখ্যাই বেশি। এরমধ্যে ডেল্টা ভেরিয়েন্টে কত শতাংশ আক্রান্ত এমন পরিসংখ্যান করতে পারেনি স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট গবেষণাপ্রতিষ্ঠান। তবে কারো কারো ধারণা এক্ষেত্রে ৮০ শতাংশই ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে থাকে, তাহলেও মৃত্যুর হারে প্রভাব পড়ার কথা। এর মধ্যে কয়েক দিন ধরেই এককভাবে সর্বোচ্চ মৃত্যু ঘটছে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. শামীম ইয়াজদানী সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাদের ওখানে এখনো জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কোনো সুবিধা নেই। যাদের করোনা পজিটিভ তাদের কিছু নমুনা ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। সেখানের গবেষণায় যে তথ্য এসেছে, তার ৮০ শতাংশই ডেল্টা ভেরিয়েন্ট। কিন্তু গবেষণার বিষয়টি জানা গেলেও কোন ব্যক্তি ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত তা জানা চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে না।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীরের মতে প্রতিটি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা সম্ভব নয়। আর যখন এই একটি ভেরিয়েন্টের সামাজিক সংক্রমণ ঘটে যায়, তখন বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে ধরা নেওয়া হয়, সংশ্লিষ্ট এলাকায় আক্রান্ত এবং মারা যান তাদের বেশির ভাগ একই ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত।

যদিও সংখ্যার হিসাবে ৯৩৫ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩১৪ জন ঢাকায়, ২৫৯ জন চট্টগ্রামে, ১০৪ জন রাজশাহীতে, ৯৪ জন খুলনায়, ৬৫ জন সিলেটে, ৫৪ জন রংপুরে, ২৭ জন বরিশালে ও ১৮ জন ময়মনসিংহে মারা গিয়েছে।
বয়স বিবেচনায় দেশে মৃত্যুহারের ক্ষেত্রে কোনো হেরফের ঘটছে না বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। তাদের তথ্য অনুসারে মৃত্যুহার আগের মতোই। এখনো সর্বোচ্চ মৃত্যুঝুঁকিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষ। আবার আক্রান্তের ক্ষেত্রে এখনো আগের মতোই তরুণদের সংখ্যা বেশি। ৪৫ বছরের ব্যক্তিরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন, যাদের মধ্যে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ২৫-৩৪ বছরের মধ্যে।
স্বাস্থ্য অদিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী করোনায় এ পর্যন্ত মোট মৃতদের ৮১ শতাংশই ৫০ বছরের বেশি বয়সী মানুষ। এমনকি সোমবার যে ৩০ জন মারা গিয়েছেন, তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশই পঞ্চাশোর্ধ্ব (২৪ জন), অপর ছয়জনের বয়স ৩১-৫০ বছরের মধ্যে। এ ছাড়া মোট মৃতদের মধ্যে ১০ বছরের নিচের শিশুদের মৃত্যু ০.৩৯ শতাংশ, ১১-২০ বছরের ০.৬৪ শতাংশ, ২১-৩০ বছরের ১.৮১ শতাংশ, ৩১-৪০ বছরের ৫.০৩ শতাংশ এবং ৪১-৫০ বছরের ১১.১৩ শতাংশ।