ঢাকা ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডাঙ্গায় করোনা নদীতে জল দু’য়ে মিলে আশঙ্কা বাড়াচ্ছে

ভয়েস রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১০:২৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১ ২১১ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টানা বর্ষণের সঙ্গে যোগ হয়েছে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল। সেই সঙ্গে বেড়েছে নদ-নদীর জলের উচ্চতা, এর জেরে ২৫ জেলার নিম্নাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় দেখা দিেেয়ছে বন্যার আশঙ্কা’

ছবি: সংগৃহীত

কিছু দিন ধরে ধামছেই না অবিরাম বর্ষণ। টানা বর্ষণের সঙ্গে যোগ হয়েছে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল। হু হু করে বেড়ে চলেছে নদ-নদীর জলের উচ্চতা। এমন অবস্থা চলতে থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যেই বন্যা কবলিত হতে পারে দেশের প্রায় ২৫ জেলার নিম্নাঞ্চল বিস্তীর্ণ এলাকা। করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই বাড়তি আশঙ্কার বার্তা দিল বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে এরই মধ্যে দেশের কয়েক জেলার কয়েকশ গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এ বৃষ্টি ও ঢল অব্যাহত থাকলে এসব জেলায় বন্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বার্তায় জানিয়েছেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তরের গাণিতিক মডেলের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশে উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন ভারতের হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গের, সিকিম, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা প্রদেশের নানা জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।

এই সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকা ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর জল দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে কয়েকটি স্থানে আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে।

বৃষ্টিপাতে নদনদীর অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার জল আগামী ৭২ ঘণ্টা ও পদ্মার জল আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়বে। সুরমা ব্যতিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর জল আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত বেড়ে যাবে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।

কুড়িগ্রাম: উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের জল বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষের দিকে কিংবা দ্বিতীয় সপ্তাহে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় স্বল্পমেয়াদি বন্যার পূর্বাভাস দিল জল উন্নয়ন বোর্ড।

সিলেট: কয়েকদিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলার নিম্নাঞ্চল গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুরসহ বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

ফেনী: অতিবৃষ্টি ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ি ঢলে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে মুহুরী নদীর তিনটি স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

ময়মনসিংহ: পাহাড়ি ঢলে নেতাই ও বোরাঘাট নদীর বাঁধ ভেঙে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট উপজেলার অন্তত ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জলবন্দি হয়ে পড়েছে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ডাঙ্গায় করোনা নদীতে জল দু’য়ে মিলে আশঙ্কা বাড়াচ্ছে

আপডেট সময় : ১০:২৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১

টানা বর্ষণের সঙ্গে যোগ হয়েছে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল। সেই সঙ্গে বেড়েছে নদ-নদীর জলের উচ্চতা, এর জেরে ২৫ জেলার নিম্নাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় দেখা দিেেয়ছে বন্যার আশঙ্কা’

ছবি: সংগৃহীত

কিছু দিন ধরে ধামছেই না অবিরাম বর্ষণ। টানা বর্ষণের সঙ্গে যোগ হয়েছে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল। হু হু করে বেড়ে চলেছে নদ-নদীর জলের উচ্চতা। এমন অবস্থা চলতে থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যেই বন্যা কবলিত হতে পারে দেশের প্রায় ২৫ জেলার নিম্নাঞ্চল বিস্তীর্ণ এলাকা। করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই বাড়তি আশঙ্কার বার্তা দিল বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে এরই মধ্যে দেশের কয়েক জেলার কয়েকশ গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এ বৃষ্টি ও ঢল অব্যাহত থাকলে এসব জেলায় বন্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বার্তায় জানিয়েছেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তরের গাণিতিক মডেলের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশে উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন ভারতের হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গের, সিকিম, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা প্রদেশের নানা জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।

এই সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকা ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর জল দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে কয়েকটি স্থানে আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে।

বৃষ্টিপাতে নদনদীর অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার জল আগামী ৭২ ঘণ্টা ও পদ্মার জল আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়বে। সুরমা ব্যতিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর জল আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত বেড়ে যাবে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।

কুড়িগ্রাম: উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের জল বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষের দিকে কিংবা দ্বিতীয় সপ্তাহে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় স্বল্পমেয়াদি বন্যার পূর্বাভাস দিল জল উন্নয়ন বোর্ড।

সিলেট: কয়েকদিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলার নিম্নাঞ্চল গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুরসহ বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

ফেনী: অতিবৃষ্টি ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ি ঢলে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে মুহুরী নদীর তিনটি স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

ময়মনসিংহ: পাহাড়ি ঢলে নেতাই ও বোরাঘাট নদীর বাঁধ ভেঙে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট উপজেলার অন্তত ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জলবন্দি হয়ে পড়েছে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ।