জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলের প্রশ্ন ড. ইউনূস আসছিল কোন আইনে
- আপডেট সময় : ০৭:১৮:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫ ৫১ বার পড়া হয়েছে
গাজীপুরে কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য দেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার : ছবি সংগ্রহ
ঢাকার অদূরে গাজীপুর শিল্পাঞ্চল। যেখানে তৈরিপোশাক শিল্প থেকে শুরু করে বহু সংখ্যক শিল্পকারখানা রয়েছে। লাখো মানুষের কর্মসংস্থানের ঠিকানা এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এখানে অনেক মিল কারখানার রয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের দাবি। তারা ব্যবসা-বাণিজ্য চালাতে পারছে না। বর্তমানে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্টরা মাঠে নেই। তাদের ৩০০ এমপি-মন্ত্রী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে এখন আপনাদের কিসের ভয়?
এমন প্রশ্ন রেখে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, যারা বিপ্লব করলাম, রক্ত দিলাম তাদের মাঝেই মতপার্থক্য শুরু হয়েছে। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন সেই সংস্কারটুকু করে আমরা নির্বাচনে যাই। সংস্কার না করে যারা নির্বাচন চায়, তারা সংবিধানের দোহাই দেন। এসব কিছু সামনে এনে একটা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। আমি তাদের কাছে প্রশ্ন করতে চাই, ড. ইউনূস আসছিল কোন আইনে? কোন সংবিধানে? কোন বিধিতে ছিল? উপদেষ্টা পরিষদ হলো, হাসিনা চলে গেলো, শপথ করলেন কোন আইনে?
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনারসহ সবার কাছে আমি অনুরোধ করবো, যে দলেরই হোক চাঁদাবাজ-মস্তান, যারা অর্থনীতির চাকাকে থামিয়ে দিতে চায় তাদেরকে গ্রেফতার করুন। তাদেরকে যদি আপনারা ধরতে না পারেন, তাহলে জনগণ বিশ্বাস করতে বাধ্য হবে আপনারাও ফ্যাসিবাদের দোসরদের খাতির করছেন।
শুক্রবার গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর মুক্তিযোদ্ধা কলেজ মাঠে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে যুক্ত হয়ে একথা বলেন জামায়াতের আমির। এসময় নির্বাচন প্রসঙ্গে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এখন দেশ গড়ার কাজ শুরু হয়েছে। এর সঙ্গে নতুন চক্রান্তও শুরু হয়েছে। বিপ্লবের পরে প্রতি বিপ্লব, জুডিশিয়াল ক্যু, আনসার কাণ্ড, এই দাবি, ওই দাবিতে অবরোধ, ধর্মঘট, সচিবালয়ে আগুন, হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা। তারা বোঝাতে চায় আওয়ামী লীগ না আসলে হিন্দু ভাইয়েরা শান্তিতে থাকতে পারবে না। এই পরিস্থিতি তারা তৈরি করতে চায়। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারতের চক্রান্তকে নস্যাৎ করে দিয়েছে।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, সংবিধান এবং আইন কী? সংবিধান হচ্ছে জন আকাঙ্ক্ষা। কোটি কোটি মানুষ যা চাইবে সেটার লিখিত রূপ হচ্ছে সংবিধান। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা যখন কেয়ারটেকার করেছিলাম, তখন সংবিধানে কেয়ারটেকার ছিল না। জনগণের দাবিতে কেয়ারটেকার হয়েছে। নির্বাচন হয়েছে, তারপর আইন। সংবিধান আইনের কথা বলতে গেলে- এই অন্তর্র্বতীকালীন সরকারও বেআইনি। উপদেষ্টাও বেআইনি।