চিত্রনায়িকা পরীমণিকে শারীরিক হেনস্থা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামীসহ গ্রেফতার ৩

- আপডেট সময় : ০৩:৫৭:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১ ২৭১ বার পড়া হয়েছে
পরীমণি ছবি: সংগৃহীত
‘এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার প্রার্থনা করেন নায়িকা পরিমণী’
চিত্রনায়িকা পরীমণির দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি নাসির উদ্দিনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে উত্তরা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) হারুনুর রশিদ বলেন, নাসির উদ্দিনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাসির বাদে অপর দুইজন পরীমণির দায়ের করা মামলার আসামি। এ সময় তার বাসা থেকে বিদেশি মদ, বিয়ারসহ বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার সাভার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন পরী। এতে নাসির উদ্দিন ও অমির নাম উল্লেখ করে আরও ৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম সোমবার গণমাধ্যমকে তা নিশ্চিত করে জানান, মামলায় উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদ, অমিসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশের একাধিক দল মাঠে নেমেছে।
পরীমণি তার এজাহারে উল্লেখ করেন, নাসির উদ্দিন মাহমুদ (৫০), অমিসহ (৪১) অজ্ঞাতনামা চারজন ৮ জুন রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টায় তার বাসা থেকে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি, অমি, বনিসহ দুটি গাড়িযোগে উত্তরার উদ্দেশে রওনা হই। পথিমধ্যে অমি বলে, বেড়িবাঁধের ঢাকা বোট ক্লাব লিমিটেডে তার দুই মিনিটের কাজ রয়েছে।
সেসময় ঢাকা বোট ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেয়। তখন অমির অনুরোধে আমরা ঢাকা বোট ক্লাবে ঢুকে টয়লেট ব্যবহার করি। টয়লেট থেকে বের হওয়ার পর নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাদের ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন এবং কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন। আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে অমিসহ নাসির উদ্দিন মদ্যপান করার জন্য জোরজবরদস্তি করেন।
পরীমণি আরও উল্লেখ করেন, মদ্যপান করতে না চাইলে নাসির উদ্দিন জোর করে আমার মুখের মধ্যে মদের বোতল ঢুকিয়ে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। এতে আমি সামনের দাঁত ও ঠোঁটে আঘাত পাই। তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেন।
তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করে এবং আমাকে জোর করে শারীরিক হেনস্থা করে। নাসির উদ্দিন উত্তেজিত হয়ে টেবিলে রাখা গ্লাস ও মদের বোতল ভাঙচুর করে আমার গায়ে ছুড়ে মারে। তখন আমার কস্টিউম ডিজাইনার জিমি তাকে বাধা দিতে চাইলে তাঁকেও মারধর করে। এ সময় আমি ৯৯৯-এ কল করতে গেলে আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি হাত থেকে ফেলে দেওয়া হয়।
অন্যান্য আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আরও চারজন নাসির উদ্দিনকে এসময় সহায়তা করে। অভিযোগে পরীমণি উল্লেখ করেন, ‘আমি অজ্ঞাতনামা আসামিদের দেখলে শনাক্ত করতে পারব। প্রকাশ থাকে যে অমি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাকে আমার বর্তমান বাসা থেকে ঢাকা বোট ক্লাবে নিয়ে যায় এবং অমিসহ অজ্ঞাতনামা চারজন আসামির সহায়তায় নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করে এবং জোরপূর্বক আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
আমার সঙ্গীদের সহায়তায় শারীরিক হেনস্থার হাত থেকে রক্ষা পাই। আনুমানিক রাত তিনটার সময় আমি আমার গাড়িযোগে প্রায় অচেতন অবস্থায় আমার সঙ্গীদের সঙ্গে ফিরে আসি। আসামিরা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করছে। এ বিষয়ে আমার পরিবার, শিল্পী সমিতি ও অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করায় এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হলো।