চারদিকেই অথৈ জল তবু——

- আপডেট সময় : ০৮:২৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ মে ২০২১ ২২১ বার পড়া হয়েছে
ছবি সংগ্রহ
দৃষ্টি সীমার পুরোটাই অথৈ জল। বাড়িঘরের আঙ্গিণা ছাপিয়ে ঘরের মধ্যেও হানা দিয়েছে প্লাবনের জল। কোথাও কোমড় ভাঙ্গা জল আবার কোথাও গলাডোবানো জল ভেঙ্গেই খাবার জলের সন্ধ্যান। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জলমগ্ন সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট অঞ্চল। সাগরের নোনা জল ঢুকেছে এলাকার নলকূপে। উপকূলজুড়ে খাবার জলের হাহাকার।
খাবার পানির ভরসা ছিল পুকুর। নোনা জলে সায়লাব হয়ে তাও পানের অযোগ্য। বিভিন্ন সংস্থা খাদ্য সহায়তার হাত বাড়ালেও পানীয় জলের তীব্র সংকট। ফিটকিরি দিয়ে জল বিশুদ্ধ করার চেষ্টাও লবণাক্ততা দূর করা যাচ্ছে না। দ্রুত খাবার জলের আকুতি বানভাসি মানুষের। তা হলে জলবাহী নানা রোগবালাই চড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জানা গেছে, বাগেরহাটের মোংলার প্রায় সাড়ে ৮শ’ পরিবার ইয়াসের জলোচ্ছ্বাসে জলবন্দি। গেল বুধবার উয়াসের প্রভাবে প্লাবিত মোরেলগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকাসহ সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম এখনও জলমগ্ন। শরণখোলা রামপালসহ বিভিন্ন এলাকায় জোয়ারের জলের নিচে।

বিশুদ্ধ খাবার জলের সন্ধ্যানে ছবি সংগ্রহ
প্রবল জোয়ারে সাতক্ষীরায় শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের জেলেখালি ও নাপিতখালিতে জল উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়েছে। কয়েকটি স্থানের বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে জল প্রবাহিত হচ্ছে। শ্যামনগর উপজেলার নীলডুমুর এলাকায় পাকা সড়ক উপচে লোকালয়ে জল প্রবেশ করেছে। ভেঙে গেছে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোড়ের বেড়িবাঁধ।
কালীগঞ্জের কাকশিয়ালি নদীর পূর্ব নারানপুর গ্রামের বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় কালীগঞ্জ হাসপাতালসহ পুরো এলাকা প্লাবিত। ভাঙনের ফলে কপোতাক্ষের জল পাশের গ্রামগুলোতে ঢুকে পড়েছে। এ ছাড়া আশাশুনির প্রতাপনগরের কুড়িকাহনিয়া লঞ্চঘাট ভেঙে সয়লাব হয়ে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম।
সুন্দরবন লাগোয়া উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির উপকূলীয় বেড়িবাঁধগুলো উপচে জোয়ারের জল লোকালয়ে ঢুকেছে।