গ্রেফতারকৃত আব্দুল্লাহ আল মামুন ছবি সংগ্রহ
জঙ্গিদের টার্গেট ছিল পুলিশেল ফাঁড়ি এবং চেকপোস্টে হামলা চালানো। আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার এবং জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দারা এমন তথ্য পাবার কথা জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে। তারা বলছেন, মামুনকে জিজ্ঞাসাদের পরই নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের জঙ্গি ডিরায় অভিযান
চালানো হয়। জঙ্গি ডেরা থেকে তিনটি শক্তিশালী আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বোমা উদ্ধারের পর তা নিস্ক্রিয় করেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
গোয়েন্দরা বলছেন, সম্প্রতিক সময়ে জঙ্গিদের ব্যবহার করা যে কোনও বোমা বা আইইডির তুলনায় এগুলো আরও বেশি শক্তিশালী ছিল। জঙ্গিরা এসব কোথাও বিস্ফোরণ ঘটাতে পারলে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারতো।
রবিবার গভীর অভিযানকালে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির বিভিন্ন উপকরণ উদ্ধার করা হয়েছে। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা বলছেন, পুলিশের চেকপোস্ট ও পুলিশ বক্সকে টার্গেট করে শক্তিশালী এসব বোমা তৈরি করেছিল নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির সদস্যরা।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (বোম্ব ডিসপোজাল) রহমত উল্লাহ চৌধুরী সুমন বলছেন, জঙ্গি ডেরা থেকে তিনটি শক্তিশালী বোমা উদ্ধারের পর তা নিস্ক্রিয় করেছেন তরা।
সিটিটিসির কর্মকর্তারা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে নব্য জেএমবির বোমা বিশেষজ্ঞ ফোরকান ও সাব্বির অনলাইনের মাধ্যমে প্রত্যেক সদস্যদের বোমা বা আইইডি তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিলো। জঙ্গিদের ভাষায় পুলিশকে ‘তাগুদ’ বাহিনী উল্লেখ করে চেকপোস্ট বা পুলিশ বক্সে হামলার পরিকল্পনা করেছিল। গত ১৯ মে নারায়ণগজ্ঞের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায়
পুলিশ বক্সের সামনে আইইডি রেখে আসে তারা। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে সেটির বিস্ফোরণ ঘটেনি। একারণে তারা এর মধ্যে আরো তিনটি শক্তিশালী বোমা বা আইইডি তৈরি করেছে। তাদের পরিকল্পনা ছিল এগুলো পুলিশ চেকপোস্ট বা পুলিশ বক্সে বিস্ফোরণ ঘটানো।
নব্য জেএমবির নতুন করে সংগঠিত হয়ে হামলার পরিকল্পনার কথা জানতে পারেন গোয়েন্দারা। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার ঢাকা থেকে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুন নারায়ণগঞ্জের নোয়াগাঁওয়ে তার বাসাটি বোমা তৈরির
কারখানা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে স্বীকার করে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সিটিটিসি সেখানে প্রথমে ডেরাটি ঘেরাও করে। পরে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা মামুনের ঘরে ঢুকে তিনটি শক্তিশালী বোমা বা আইইডি উদ্ধারের পর নিস্ক্রিয় করে।