ঢাকা ১০:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণতন্ত্র সুসংহত করতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা সহায়ক : শেখ হাসিনা

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৯:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুলাই ২০২১ ২১১ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের গণতন্ত্রকে সুসংহত রাখতে একটি অত্যাধুনিক ও সুশৃঙ্খল সেনাবাহিনী অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করার কথা উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার সেনা সদর মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে সেনা সদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২১-এ
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এবিষয়ে ব্রিফ করেন।

সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ সভায় স্বাগত ভাষণ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বলীয়ান, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগে সদা প্রস্তুত, পেশাদার এবং দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন অফিসারদের হাতে এর নেতৃত্ব ন্যস্ত করতে হবে।

আওয়ামী লীগ সরকার সর্বদাই ‘জনগণের সেবক হিসেবে দেশ পরিচালনা করে, শাসক হিসেবে নয়’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শৃঙ্খলাই সেনাবাহিনীর মেরুদণ্ড।

সেই সঙ্গে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সৎ, নির্মোহ, ন্যায়পরায়ণ, জনবান্ধব, মানবিক গুণসম্পন্ন এবং সর্বোপরি কর্মজীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদানে সফল অফিসারদের খুঁজে বের করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি জেনে খুশি হয়েছেন, সেনাবাহিনীর অফিসারদের পদোন্নতির জন্য টিআরএসিই-ট্রেস (টার্বুলেটেড রেকর্ড অ্যান্ড কম্পারেটিভ ইভ্যালুয়েশন) পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, যা তাঁদের পেশাগত দক্ষতার বিভিন্ন দিকের তুলনামূলক মূল্যায়ন প্রকাশ করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন প্রকার নিযুক্তি, যেমন—কমান্ড, স্টাফ, প্রশিক্ষকসহ বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ নিযুক্তির জন্য উপযুক্ত অফিসারদের পদোন্নতি প্রদান করতে হবে। এতে সবার গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে।

এ সময় তিনি গত সাড়ে ১২ বছরে তাঁর সরকারের তিন বাহিনীর ব্যাপক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তাঁর সরকার বঙ্গবন্ধু প্রণিত প্রতিরক্ষা নীতির ভিত্তিতে নতুন করে ‘জাতীয়

প্রতিরক্ষা নীতি, ২০১৮’ প্রণয়ন করেছে, যা মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদিত হয়েছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রার চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিতে সারা বিশ্বে বিপর্যয় সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি থেমে নেই। গৃহহীন মানুষের আবাসন নিশ্চিতে

সরকারের কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘করোনাসহ বিভিন্ন দুর্যোগে গৃহহীন মানুষের আশ্রয় নিশ্চিত করে যাচ্ছি। আমরা সরকারে থাকলে কেউই গৃহহীন থাকবে না।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

গণতন্ত্র সুসংহত করতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা সহায়ক : শেখ হাসিনা

আপডেট সময় : ০৭:৫৯:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুলাই ২০২১

দেশের গণতন্ত্রকে সুসংহত রাখতে একটি অত্যাধুনিক ও সুশৃঙ্খল সেনাবাহিনী অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করার কথা উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার সেনা সদর মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে সেনা সদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২১-এ
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এবিষয়ে ব্রিফ করেন।

সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ সভায় স্বাগত ভাষণ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বলীয়ান, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগে সদা প্রস্তুত, পেশাদার এবং দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন অফিসারদের হাতে এর নেতৃত্ব ন্যস্ত করতে হবে।

আওয়ামী লীগ সরকার সর্বদাই ‘জনগণের সেবক হিসেবে দেশ পরিচালনা করে, শাসক হিসেবে নয়’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শৃঙ্খলাই সেনাবাহিনীর মেরুদণ্ড।

সেই সঙ্গে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সৎ, নির্মোহ, ন্যায়পরায়ণ, জনবান্ধব, মানবিক গুণসম্পন্ন এবং সর্বোপরি কর্মজীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদানে সফল অফিসারদের খুঁজে বের করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি জেনে খুশি হয়েছেন, সেনাবাহিনীর অফিসারদের পদোন্নতির জন্য টিআরএসিই-ট্রেস (টার্বুলেটেড রেকর্ড অ্যান্ড কম্পারেটিভ ইভ্যালুয়েশন) পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, যা তাঁদের পেশাগত দক্ষতার বিভিন্ন দিকের তুলনামূলক মূল্যায়ন প্রকাশ করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন প্রকার নিযুক্তি, যেমন—কমান্ড, স্টাফ, প্রশিক্ষকসহ বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ নিযুক্তির জন্য উপযুক্ত অফিসারদের পদোন্নতি প্রদান করতে হবে। এতে সবার গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে।

এ সময় তিনি গত সাড়ে ১২ বছরে তাঁর সরকারের তিন বাহিনীর ব্যাপক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তাঁর সরকার বঙ্গবন্ধু প্রণিত প্রতিরক্ষা নীতির ভিত্তিতে নতুন করে ‘জাতীয়

প্রতিরক্ষা নীতি, ২০১৮’ প্রণয়ন করেছে, যা মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদিত হয়েছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রার চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিতে সারা বিশ্বে বিপর্যয় সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি থেমে নেই। গৃহহীন মানুষের আবাসন নিশ্চিতে

সরকারের কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘করোনাসহ বিভিন্ন দুর্যোগে গৃহহীন মানুষের আশ্রয় নিশ্চিত করে যাচ্ছি। আমরা সরকারে থাকলে কেউই গৃহহীন থাকবে না।’