তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে কিশোর অপরাধ উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। তারা হত্যাকাণ্ডের মতো হিংস্র ও নৃশংস অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছে। পরবর্তীতে প্রজন্মকে রক্ষা করতে এখনই ‘কিশোর গ্যাং’ কালচারের লাগাম টেনে ধরা দরকার।
র্যাব কিশোর গ্যাং নামে অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে জোরালো অভিযানে নেমেছে। আমরা প্রত্যাশা করি পরিবার তার সন্তানের প্রতি আরও নজর দেবে। পাশাপাশি সমাজ ও শিক্ষাঙ্গনকে এগিয়ে আসতে হবে।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, করোনা অতিমারির এ সময়ে ‘লকডাউন’ নিশ্চিত করার পাশাপাশি র্যাব ভেজাল পণ্য, দ্রব্যমূল্য বাড়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। এছাড়া গত এক বছরের বেশি সময় ধরে আমরা মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, অবৈধ কিট, ভুয়া রিপোর্ট ইত্যাদি সম্পর্কীয় অভিযান পরিচালনা করছি।
সাম্প্রতিক সময়ে করোনাসহ বিভিন্ন রোগের টেস্টিং কিট ও রি-এজেন্ট জব্দ ও প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ নয়জন অপরাধীকে গ্রেফতার করে র্যাব।
করোনা পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি কর্মহীন, অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া, সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অসুস্থ রোগীদের জরুরিসেবা দেওয়া ও অন্যান্য মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে র্যাব মানুষের আস্থা ও অফুরন্ত ভালোবাসা অর্জন করেছে।
র্যাব জঙ্গি দমনে প্রশংসনীয় অবদান রেখে চলছে জানিয়ে র্যাব প্রধান বলেন, প্রতিষ্ঠা থেকে আমরা দুই হাজার ৫৫১ জন জঙ্গি গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। জঙ্গি দমনে বিগত সময়ের অভিজ্ঞতায় হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় প্রাথমিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয় র্যাব। হলি আর্টিজানের হামলার আসামিদের গ্রেফতারে র্যাবের উল্লেখযোগ্য সাফল্য রয়েছে।
জঙ্গিদের কার্যক্রম দুর্বল হলেও মাঝে মধ্যে র্যাবের বা বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে জঙ্গিরা গ্রেফতার হচ্ছে। জঙ্গি গোষ্ঠী থেকে আমরা এক ধাপ এগিয়ে আছি। সাইবার সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে আমরা সাইবার জগতে জঙ্গি কার্যক্রমের মনিটরিং করছি। যখনই আমরা তথ্য পাচ্ছি তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনছি।
বাংলাদেশের জঙ্গিদের সঙ্গে বা্যইরের কোন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগের এখনো কোনো তথ্য আমরা পাইনি। আমাদের দেশের জঙ্গিরা অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ভিডিও দেখে এবং দেশের জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংঘটিত হওয়ার চেষ্টাকালে আমরা খবর পেয়ে যাচ্ছি। তখনি তাদের গ্রেফতার করছি। এর ফলে আর কোনো বড় ধরনের জঙ্গি হামলার ঘটনা দেশে ঘটছে না।
হলি আর্টিজানের মতো এ রকম আরও কোনো ঘটনা ঘটলে সে ক্ষেত্রে ঘটনা মোকাবিলায় র্যাবের সক্ষমতার বিষয়ে র্যাব ডিজি বলেন, এখন তাদের সেই ক্যাপাসিটি আছে বলে মনে করি না। তবে যেকোনো ধরনের হামলার জন্য আমরা কিন্তু প্রস্তুত আছি। এ মুহূর্তে তাদের এ ধরনের হামলা করার সামর্থ্য নেই বলে আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগি না।
আমাদের নিজেদের প্রশিক্ষণ এবং যে ধরনের প্রযুক্তিতে তাদের আমরা চিহ্নিত করতে পারি সেগুলো বাড়ানোর কাজ প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছি। আমরা আশা করি যেকোনো ধরনের হামলার চেষ্টা করা হলে অনেক আগেই আমরা সেটা প্রতিহত করতে পারবো।