বুধবার অনলাইনে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে তথ্য অধিদফতর সংকলিত ‘অনশ্বর বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনের পর এসব কথা বলেন তথ্য মন্ত্রী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘মানবাধিকার সংস্থার নামে বিবৃতি বিক্রি বা রিপোর্ট প্রকাশ করা মানবাধিকার উন্নয়নে সহায়ক হয় না; বরং মানবাধিকার সংরক্ষণের বিরুদ্ধে যায়।বাংলাদেশে গণমাধ্যম যে পরিমাণ স্বাধীনতা ভোগ করে, এ ধরনের স্বাধীনতা কোনও উন্নয়নশীল দেশে ভোগ করে না।
আর যেসব দেশ থেকে এ ধরনের বিবৃতি বা রিপোর্ট দেওয়া হয়, সেসব দেশে গণমাধ্যমের যে পরিমাণ জবাবদিহি আছে, আমাদের দেশে সেটি নেই। সেখানে যেকোনও ভুল সংবাদ পরিবেশন করলে, মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে হয়। ভুল বা অসত্য সংবাদ পরিবেশনের জন্য অনেক সময় পত্রিকা বন্ধ হয়ে যায়, যেমন শত বছরের
নামকরা পত্রিকা নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ডের ক্ষেত্রে হয়েছে। অনেক সময় টেলিভিশনের পুরো টিমকে পদত্যাগ করতে হয়, যেমন- বিবিসি’র ক্ষেত্রে হয়েছে। আমাদের দেশে সেটি হয় না৷’
‘অনশ্বর বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থ প্রকাশের জন্য তথ্য অধিদফতরকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ওপর যত লেখনী, কবিতা ও গ্রন্থ প্রকাশিত হবে, আমাদের ইতিহাস ততই সমৃদ্ধ হবে, আমাদের নতুন প্রজন্ম সমৃদ্ধ হবে, তারা বঙ্গবন্ধুকে জানবে, বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস জানবে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই যুগে মানুষ যখন প্রচণ্ড আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছে, তখন আমাদের পূর্বসূরিরা জাতির পিতার ডাকে কীভাবে জীবন সঁপে দিয়ে দেশ রচনা করেছেন, তা ফিরে দেখা একান্ত প্রয়োজন।
বঙ্গবন্ধু কীভাবে একটি নিরস্ত্র জাতিকে উজ্জীবিত করে দেশের জন্য প্রাণ সঁপে দিতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, সেই ইতিহাস এ ধরনের গ্রন্থগুলো থেকেই সবাই জানবেন।’