কামড় দেওয়া রাসেলস ভাইপার মেরে নিয়েই হাসপাতালে কৃষক
- আপডেট সময় : ০৮:১৯:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪ ৯০ বার পড়া হয়েছে
ইদানিং রাসেলস ভাইপার সাপের উপদ্রব বেড়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে এই সাপের কামড়ে। মারাও পড়েছে বেশ কিছু সাপ।
ঘূর্ণিঝড় রেমেলের পর থেকেই মূলত এই সাপের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। কারণ, ঘূর্ণিঝড় রেমেলের তান্ডবে তোখাও কোথাও ৮ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়েছে।
সুন্দরবনেও ৭ থেকে ৮ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে। ধারণ করা হচ্ছে, জলোচ্ছ্বাসে বনের সাপ স্রোতের সঙ্গে বেড়িয়ে এসেছে।
এদিকে মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মার চরাঞ্চল চরজানাজাতে সাপের কামড়ের শিকার হয়েছেন কৃষক মমিন শেখ। এরপর কৃষক মমিন শেখ ও তার ছেলে রাসেলস ভাইপার সাপটিকে মেরে শিবচর হাসপাতালে নিয়ে আসে। মমিন শেখের চিকিৎসা চলছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বর্ষা মৌসুমে শিবচরের পদ্মা নদীর চরাঞ্চল চরজানাজাত ইউনিয়নে সাপের উপদ্রব বেড়েছে। ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের আজিজ শেখের ছেলে মমিন শেখ বাড়ির চারদিকে জাল দিয়ে বেড়া দেন। গত রোববার সন্ধ্যায় তিনি বেড়া তল্লাশির সময় হাতে আঘাত অনুভব করেন।
এরপর তিনি সামনে একটি সাপ দেখতে পান। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে হাত বেঁধে রাখেন। তারপর ছেলেকে নিয়ে সাপটি মেরে ফেলেন। সাপটিকে নিয়ে তিনি শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। তার অবস্থা স্থিতিশীল।
মমিন শেখ বলেন, চরে সাপের উপদ্রব এবার অনেক বেশি, তাই বাড়ির চারদিকে বেড়া দিচ্ছিলাম। এ সময় সাপে কাটে। পরে হাতে বাঁধ দিয়ে সাপটিকে মেরে হাসপাতালে নিয়ে আসি। শরীরটা ব্যথা, মাথা ঘুরায়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. প্রিন্স বলেন, মমিন শেখকে আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি। তবে রক্ত স্বাভাবিক থাকায় এখনও এন্টিভেনম দেওয়া হয়নি।