ঢাকা ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাঁচা লঙ্কার কেজি ৬ টাকা!

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৬:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১ ২০২ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি: সংগৃহীত

‘মরিচ বিক্রি করতে না পেরে বাজারের পাশে ফেলে দিয়ে যাচ্ছেন চাষীরা’

মরিচ চাষ করে বিপাকে পড়েছেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার চাষীরা। এবার মরিচের বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্যমূল্য না পেয়ে চাষিদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা। উৎপাদন খরচ দূরের কথা, খেত থেকে মরিচ তুলে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে যে টাকা খরচ হয়, সে টাকাও উঠছে না। এতে চাষিরা মরিচ নিয়ে মহাবিপাকে। মানিকগঞ্জে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ছয় থেকে সাত টাকা কেজি দরে।

মরিচের দাম না বাড়ে তাহলে মোটা অঙ্কের লোকসান গুনতে হবে এ অঞ্চলের চাষিদের। তাছাড়া কাঁচা মরিচ সংরক্ষণের জন্য হিমাগার নির্মাণের দাবি মানিকগঞ্জের কৃষকদের। অপর দিকে করোনার প্রাভাবে প্রায় শূন্যের কোঠায় মানিকগঞ্জের কাঁচা মরিচের রপ্তানি বাজার। নামে মাত্র কিছু মরিচ পাঠানো হচ্ছে বিদেশের বাজারে।

ঘিওর উপজেলার ঘিওর হাট, বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ড, কেল্লাই আড়ত, বাঠইমুড়ি বাজার, হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা, বাল্লা, বাস্তা, মাচাইন, শিবালয় উপজেলার বরংগাইল, নালী, রূপসা, তাড়াইল, শাকরাইল এবং মরিচ কেনা-বেচার বিখ্যাত হাটবাজার।

মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছর মরিচের দাম ভালো হওয়াতে এবার মরিচের আবাদ বেড়েছে এবং ফলনও ভালো হয়েছে। এ বছর ৫ হাজার ৭০৯ হেক্টর জমিতে মরিচ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৭৫০ হেক্টর।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষিবিদ আশরাফ উজ্জামান ও ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন জানিয়েছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম কয়েকদিন আগেও ভালো ছিল। বর্তমানে দাম অনেক কম যাওয়ায় কৃষকরা আর্থিক ক্ষতির মুখে।

অনেকে মরিচ বিক্রিও করতে পারছেন না। তাই ন্যায্যমূল্য এবং ক্রেতা না পেয়ে ক্ষোভে দুঃখে অনেকে মরিচ বিক্রি না করে বাজারের পাশে ফেলে দিয়ে চলে যাচ্ছেন।

অপর দিকে বাংলাদেশের উত্তরজনপদের হরিরামপুরে ১২৬৫ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। উপজেলার বাল্লা, গালা আর গোপীনাথপুর ইউনিয়নে মরিচের বেশি চাষ হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি চাষাবাদ হয়েছে উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নে।

বিক্রি করতে না পেরে বাজােরের পাশে মরিচ ফেলে গিয়েছেন চাষীরা

হরিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল গফফার জানান, এ বছর হরিরামপুরে ১২৬৫ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। আগের চেয়ে উপজেলায় মরিচের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের দিকে নজর দিলে আমরা এ সমস্যা থেকে উতরাতে পারবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কাঁচা লঙ্কার কেজি ৬ টাকা!

আপডেট সময় : ০৯:৩৬:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১

ছবি: সংগৃহীত

‘মরিচ বিক্রি করতে না পেরে বাজারের পাশে ফেলে দিয়ে যাচ্ছেন চাষীরা’

মরিচ চাষ করে বিপাকে পড়েছেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার চাষীরা। এবার মরিচের বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্যমূল্য না পেয়ে চাষিদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা। উৎপাদন খরচ দূরের কথা, খেত থেকে মরিচ তুলে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে যে টাকা খরচ হয়, সে টাকাও উঠছে না। এতে চাষিরা মরিচ নিয়ে মহাবিপাকে। মানিকগঞ্জে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ছয় থেকে সাত টাকা কেজি দরে।

মরিচের দাম না বাড়ে তাহলে মোটা অঙ্কের লোকসান গুনতে হবে এ অঞ্চলের চাষিদের। তাছাড়া কাঁচা মরিচ সংরক্ষণের জন্য হিমাগার নির্মাণের দাবি মানিকগঞ্জের কৃষকদের। অপর দিকে করোনার প্রাভাবে প্রায় শূন্যের কোঠায় মানিকগঞ্জের কাঁচা মরিচের রপ্তানি বাজার। নামে মাত্র কিছু মরিচ পাঠানো হচ্ছে বিদেশের বাজারে।

ঘিওর উপজেলার ঘিওর হাট, বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ড, কেল্লাই আড়ত, বাঠইমুড়ি বাজার, হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা, বাল্লা, বাস্তা, মাচাইন, শিবালয় উপজেলার বরংগাইল, নালী, রূপসা, তাড়াইল, শাকরাইল এবং মরিচ কেনা-বেচার বিখ্যাত হাটবাজার।

মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছর মরিচের দাম ভালো হওয়াতে এবার মরিচের আবাদ বেড়েছে এবং ফলনও ভালো হয়েছে। এ বছর ৫ হাজার ৭০৯ হেক্টর জমিতে মরিচ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৭৫০ হেক্টর।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষিবিদ আশরাফ উজ্জামান ও ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন জানিয়েছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম কয়েকদিন আগেও ভালো ছিল। বর্তমানে দাম অনেক কম যাওয়ায় কৃষকরা আর্থিক ক্ষতির মুখে।

অনেকে মরিচ বিক্রিও করতে পারছেন না। তাই ন্যায্যমূল্য এবং ক্রেতা না পেয়ে ক্ষোভে দুঃখে অনেকে মরিচ বিক্রি না করে বাজারের পাশে ফেলে দিয়ে চলে যাচ্ছেন।

অপর দিকে বাংলাদেশের উত্তরজনপদের হরিরামপুরে ১২৬৫ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। উপজেলার বাল্লা, গালা আর গোপীনাথপুর ইউনিয়নে মরিচের বেশি চাষ হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি চাষাবাদ হয়েছে উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নে।

বিক্রি করতে না পেরে বাজােরের পাশে মরিচ ফেলে গিয়েছেন চাষীরা

হরিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল গফফার জানান, এ বছর হরিরামপুরে ১২৬৫ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। আগের চেয়ে উপজেলায় মরিচের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের দিকে নজর দিলে আমরা এ সমস্যা থেকে উতরাতে পারবো।