ঢাকা ১২:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন কিনা শঙ্কায় স্বাস্থ্যের ডিজি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:০৬:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুলাই ২০২১ ১৭৮ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম : ছবি সংগ্রহ

“ স্বাভাবিক সময়ে যেখানে অক্সিজেনের চাহিদা ছিল ৭০থেকে ৯০ টনের মতো থাকে,  বর্তমানে সেখানে ২০০ টনে চলে গিয়েছে। তবে এখনও দেশেঅক্সিজেনের জোগান রয়েছে এবং ভারত থেকেও আমদানি হচ্ছে”

করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি। দিন দিন পরিস্থিতি খারাপের দিকেই যাচ্ছে। এমন অবস্থা চলতে

থাকলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। শুক্রবার

ঢাকার মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এমন আশঙ্কার কথাই

জানালেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ

খুরশিদ আলম।

ডা. আলম বলেন, সরকারের ব্যবস্থাপনা যথেষ্ট ভালো। আর মানুষকেও আশ্বস্ত করতে হবে। তবে

পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবো কিনা তা এখনও বুঝে ওঠতে পারছেন না তিনি। অবস্থা পর্যবেক্ষণ

করতে হবে বলে জানালেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

অধ্যাপক খুরশিদ আলম স্বীকার করেন যে, আগের বিধিনিষেধ খুব একটা কাজে আসেনি। দুই

সপ্তাহের বিধিনিষেধে তেমন প্রভাব দেখতে পাচ্ছেন না। সীমান্তবর্তী জেলায় সংক্রমণ কমেছে।

বিধিনিষেধের প্রভাব বুঝতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে।

এ অবস্থায় অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে অক্সিজেনের চাহিদা ৭০

থেকে ৯০ টনের মতো থাকে, সেখানে বর্তমানে ২০০ টনে চলে গিয়েছে। তবে এখনও দেশে

অক্সিজেনের জোগান রয়েছে এবং ভারত থেকেও আমদানি হচ্ছে।

ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে যথেষ্ট সক্ষমতা থাকার পরেও বাইরে থেকে রোগীরা ঢাকায় চলে আসার কথা জানান তিনি।

সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, মুগদা

হাসপাতালে কয়েকজন বয়স্ক রোগীর সঙ্গে কথা তিনি কথা বলেছেন। তাদের অবস্থা খুব নাজুক।

তারা কেউ টিকা নেননি, অথচ তাদের টিকা নেওয়া উচিত। টিকা নেওয়ার পরে আক্রান্ত হলেও

উপসর্গ কম থাকে। ঝুঁকি কম থাকে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন কিনা শঙ্কায় স্বাস্থ্যের ডিজি

আপডেট সময় : ০৮:০৬:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুলাই ২০২১

অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম : ছবি সংগ্রহ

“ স্বাভাবিক সময়ে যেখানে অক্সিজেনের চাহিদা ছিল ৭০থেকে ৯০ টনের মতো থাকে,  বর্তমানে সেখানে ২০০ টনে চলে গিয়েছে। তবে এখনও দেশেঅক্সিজেনের জোগান রয়েছে এবং ভারত থেকেও আমদানি হচ্ছে”

করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি। দিন দিন পরিস্থিতি খারাপের দিকেই যাচ্ছে। এমন অবস্থা চলতে

থাকলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। শুক্রবার

ঢাকার মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এমন আশঙ্কার কথাই

জানালেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ

খুরশিদ আলম।

ডা. আলম বলেন, সরকারের ব্যবস্থাপনা যথেষ্ট ভালো। আর মানুষকেও আশ্বস্ত করতে হবে। তবে

পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবো কিনা তা এখনও বুঝে ওঠতে পারছেন না তিনি। অবস্থা পর্যবেক্ষণ

করতে হবে বলে জানালেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

অধ্যাপক খুরশিদ আলম স্বীকার করেন যে, আগের বিধিনিষেধ খুব একটা কাজে আসেনি। দুই

সপ্তাহের বিধিনিষেধে তেমন প্রভাব দেখতে পাচ্ছেন না। সীমান্তবর্তী জেলায় সংক্রমণ কমেছে।

বিধিনিষেধের প্রভাব বুঝতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে।

এ অবস্থায় অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে অক্সিজেনের চাহিদা ৭০

থেকে ৯০ টনের মতো থাকে, সেখানে বর্তমানে ২০০ টনে চলে গিয়েছে। তবে এখনও দেশে

অক্সিজেনের জোগান রয়েছে এবং ভারত থেকেও আমদানি হচ্ছে।

ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে যথেষ্ট সক্ষমতা থাকার পরেও বাইরে থেকে রোগীরা ঢাকায় চলে আসার কথা জানান তিনি।

সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, মুগদা

হাসপাতালে কয়েকজন বয়স্ক রোগীর সঙ্গে কথা তিনি কথা বলেছেন। তাদের অবস্থা খুব নাজুক।

তারা কেউ টিকা নেননি, অথচ তাদের টিকা নেওয়া উচিত। টিকা নেওয়ার পরে আক্রান্ত হলেও

উপসর্গ কম থাকে। ঝুঁকি কম থাকে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।