কক্সবাজারের সৈকতে ভেসে আসলো ১০ টন ওজনের মৃত তিমি
- আপডেট সময় : ০৬:৪৬:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ এপ্রিল ২০২১ ২৪৪ বার পড়া হয়েছে
কক্সবাজার সৈকতে শনিবার ভেসা আসা মৃত তিমি
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের হিমছড়ি এলাকায় শুক্র ও শনিবার দু’টো মৃত তিমি ভেসে আসে। শনিবার ভেসে আসা তিমির ওজন প্রায় ১০ টন। আর লম্বায় ৪৬ ফুট ও প্রস্থে ১৮ ফুট। শুক্রবার আরও একটি মৃত তিমি একই এলাকায় ভেসে আসে। যেটি লম্বায় ৪৪ ফুট ও প্রস্থে ১৬ ফুট। সেটির ওজনও প্রায় ১০ টনের মতো। শুক্রবার রাতেই সৈকতের বালুচরে পুঁতে ফেলা হয়েছে। ভেসে আসা দ্বিতীয় তিমিটি সন্ধ্যা নাগাদ বালুচরে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
এদিন জোয়ারের জল নেমে যাবার পর তিমির শরীর দৃশ্যমান হয়। সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা তিমির দৈর্ঘ্য-প্রস্থ নির্ণয় করেছেন। মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, তিমিটির বয়স প্রায় ২৫ বছর। চামড়া পচে এটির দেহ বিকৃত হয়ে গেছে। মাথার অংশ নেই। লেজের অংশটাও অনেকটা বোঝা যায় না। নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
ঘটনাস্থলে সামুদ্রিক সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কক্সবাজারের বৈজ্ঞানিক আধিকারীকরা সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিমিটির আকার-আকৃতিও শুক্রবার যেটি ভেসে আসে প্রায় তেমনই। আগের তিমির পেটে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
আর এটির পিঠে বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। এটিও ১০ থেকে ১৫ দিন আগে মারা যেতে পারে। গভীর সমুদ্র থেকে জোয়ারের পানিতে ভেসে উপকূলে পৌঁছাতে এত দিন সময় লেগেছে। আগেরটির চেয়ে এটির দেহ বেশি বিকৃত। মুখ ও লেজের অংশ গলে গিয়েছে।
শুক্রবার বিশাল আকৃতির মৃত তিমি ভেসে আসে
স্থানীয় জেলে এক জেলে কামাল উদ্দিন জানান, সকালে আটটা নাগাদ তিনি সমুদ্রে মাছ ধরতে নামেন। এ সময় দেখতে পান একটি তিমি ভেসে আসছে। তিমিটি দরিয়ানগর সৈকতে ভিড়েছে। আগেরটি ভিড়েছে উত্তর দিকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে হিমছড়ি সৈকতে। ধারণা করা হচ্ছে, তিমি দুটি একই প্রজাতির। গভীর সমুদ্রে ফিশিং ট্রলারের ধাক্কায় তিমির মৃত্যু হতে পারে। অথবা বিষাক্ত বর্জ্য খেয়ে ফেলার কারণেও তিমির মৃত্যু হতে পারে।
পরিবেশবাদী সংগঠন কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা বলেন, বড় বড় মৃত তিমি ভেসে আসার খবরে উদ্বিগ্ন এলাকার মানুষ। ১৯৯৬ ও ২০০৬ সালেও এই রকম দু’টো মৃত তিমি সৈকতে ভেসে এসেছিল। কিন্তু কোনোটির তদন্ত হয়নি। এগুলোর মৃত্যু বঙ্গোপসাগরের জলসীমানায়, নাকি অন্য কোনো জায়গায় তা চিহ্নিত হওয়া দরকার।