ঢাকা ০৮:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওয়ার্ডবয় থেকে ‘স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ’, ভিজিট ৫০০

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:০৯:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১ ২০৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খোরশেদ আলম ছবি-সংগৃহীত

তিনি নিজের পরিচয় দেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তার নামের পাশে লেখা থাকে বড় বড় ডিগ্রি— এমবিবিএস (ডিএমসি), বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (নিউরোলজি) ও এফআরসিপি (লন্ডন)।

এমন ‘গুণধর’ ব্যক্তিটিই গত সাত বছরে কুমিল্লা, মাগুরা ও সবশেষ চট্টগ্রামে তিনবার গ্রেফতার হয়েছেন। দুই দফায় কারাগারে ছিলেন দেড় বছর। প্রতিবারই কারাগার থেকে বের হয়ে এসে আবার পুরনো ‘কাজে’ জড়িয়ে পড়েন।

নাম তার খোরশেদ আলম। অষ্টম শ্রেণি পাস এই ব্যক্তি ছিলেন ঢাকা মেডিকেলের একজন ওয়ার্ডবয়। চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর কাট্টলীর এক ফার্মেসিতে বসে রোগী দেখার নামে করে যাচ্ছিলেন প্রতারণা।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর কাট্টলীতে নিউরোমেডিসিনের ডাক্তার সেজে বসা এই প্রতারক খোরশেদ আলমকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘করোনা মেডিসিন ব্যাংকের’ সহায়তায় আটক করে আকবরশাহ থানার পুলিশ।

জানা গেছে, অষ্টম শ্রেণি পাস খোরশেদ আলম বেশ অনেকদিন ধরে উত্তর কাট্টলীর কর্নেল জোন্স সড়কের কাট্টলী ফার্মেসিতে বসে নিজেকে নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও এমডিসহ (নিউরোলজি) বিভিন্ন ডিগ্রিধারী পরিচয় দিয়ে রোগী দেখে আসছেন। রোগীপ্রতি তিনি ৫০০ টাকা করে ফি নেন।

মিথ্যা পরিচয়ে চিকিৎসাসেবার নামে প্রতারণা এই প্রথম নয় খোরশেদের। এর আগে মাগুরায় স্থানীয় এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিউরো মেডিসিন এবং মেডিসিন ও স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে দুই মাস ধরে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। ২০১৭ সালের এপ্রিলে সেখানে ধরা পড়ার পর ভ্রাম্যমাণ আদালত এই ভুয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে এক বছরের কারাদণ্ড দেন।

মাগুরায় একবছর জেল খেটে বেরুনোর পর খোরশেদ চলে আসেন চট্টগ্রামে। বাড়িও তার চট্টগ্রামেই, নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে তিনি।  সূত্র: চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ওয়ার্ডবয় থেকে ‘স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ’, ভিজিট ৫০০

আপডেট সময় : ১১:০৯:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১

খোরশেদ আলম ছবি-সংগৃহীত

তিনি নিজের পরিচয় দেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তার নামের পাশে লেখা থাকে বড় বড় ডিগ্রি— এমবিবিএস (ডিএমসি), বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (নিউরোলজি) ও এফআরসিপি (লন্ডন)।

এমন ‘গুণধর’ ব্যক্তিটিই গত সাত বছরে কুমিল্লা, মাগুরা ও সবশেষ চট্টগ্রামে তিনবার গ্রেফতার হয়েছেন। দুই দফায় কারাগারে ছিলেন দেড় বছর। প্রতিবারই কারাগার থেকে বের হয়ে এসে আবার পুরনো ‘কাজে’ জড়িয়ে পড়েন।

নাম তার খোরশেদ আলম। অষ্টম শ্রেণি পাস এই ব্যক্তি ছিলেন ঢাকা মেডিকেলের একজন ওয়ার্ডবয়। চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর কাট্টলীর এক ফার্মেসিতে বসে রোগী দেখার নামে করে যাচ্ছিলেন প্রতারণা।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর কাট্টলীতে নিউরোমেডিসিনের ডাক্তার সেজে বসা এই প্রতারক খোরশেদ আলমকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘করোনা মেডিসিন ব্যাংকের’ সহায়তায় আটক করে আকবরশাহ থানার পুলিশ।

জানা গেছে, অষ্টম শ্রেণি পাস খোরশেদ আলম বেশ অনেকদিন ধরে উত্তর কাট্টলীর কর্নেল জোন্স সড়কের কাট্টলী ফার্মেসিতে বসে নিজেকে নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও এমডিসহ (নিউরোলজি) বিভিন্ন ডিগ্রিধারী পরিচয় দিয়ে রোগী দেখে আসছেন। রোগীপ্রতি তিনি ৫০০ টাকা করে ফি নেন।

মিথ্যা পরিচয়ে চিকিৎসাসেবার নামে প্রতারণা এই প্রথম নয় খোরশেদের। এর আগে মাগুরায় স্থানীয় এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিউরো মেডিসিন এবং মেডিসিন ও স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে দুই মাস ধরে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। ২০১৭ সালের এপ্রিলে সেখানে ধরা পড়ার পর ভ্রাম্যমাণ আদালত এই ভুয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে এক বছরের কারাদণ্ড দেন।

মাগুরায় একবছর জেল খেটে বেরুনোর পর খোরশেদ চলে আসেন চট্টগ্রামে। বাড়িও তার চট্টগ্রামেই, নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে তিনি।  সূত্র: চট্টগ্রাম প্রতিদিন