ঢাকা ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবারেও কলকাতা বইমেলার থিমকান্ট্রি বাংলাদেশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২২:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ২৬৮ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

করোনা পরিস্থিতির কারণে জুলাই মাসে হতে চলেছে ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। এবারের বইমেলায় থিমকান্ট্রি বাংলাদেশ। এই প্রথম কোনো দেশ কলকাতা বইমেলায় তৃতীয়বারের মতো থিমকান্ট্রি হতে চলেছে।
৪ জানুয়ারি কলকাতা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড। একই সঙ্গে গিল্ডের পক্ষ থেকে এবার ‘একুশে ভাষা উৎসব’ পালন করা হবে। এরসঙ্গে থাকবে কলকাতা লিটেরারি ফেস্টিভ্যাল।

 

গিল্ডের পক্ষ থেকে সভাপতি ত্রিদিব কুমার চ্যাটার্জি বলেন, যেহেতু চলতি বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং বাংলাদেশ-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কেরও ৫০ বছর। যা দুই দেশেরই গর্বের বিষয়। ফলে বাংলাদেশ-ভারতের সৌহার্দ্য বৃদ্ধির পরিকল্পনায় এবার থিমকান্ট্রি বাংলাদেশকে করা হবে বলে ঠিক হয়েছে।

 


সংস্থাটির সভাপতি বলেন, এই পরিকল্পনা গতবারই আমরা ঠিক করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছিলাম। তিনি আমাদের এ বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন। ফলে সেই সময় আমি এবং সাধারণ সম্পাদক শুধাংশু শেখর দে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম।

২০২০ ছিল সবার কাছে বিষাদময় সময়। এবার সরকারি রীতি মেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা ভালোর দিকে। জুলাই মাসের মধ্যে সম্ভবত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল পুরোপুরি শুরু হয়ে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি কলকাতাস্থ বাংলাদেশের উপ হাইকমিশন প্রধান তৌফিক হাসান বলেন, আমাদের কাছে খুশির খবর যে, আবারও বাংলাদেশ থিমকান্ট্রি হতে চলেছে। তবে গিল্ডের কাছে আবেদন রাখব, এবারে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের জন্য ৫ হাজার বর্গফুট জায়াগা দেওয়া হোক।

 

গত বছর বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের আয়তন ছিল সাড়ে তিন হাজার বর্গফুট। বাড়তি জায়গা আবেদনের কারণ হিসেবে তৌফিক হাসান বলেন, যে সময় কলকাতা বইমেলা শুরু হবে সেই সময় একুশে বইমেলা শেষ হয়ে যাবে। প্রতিবার দুই দেশে দুই মেলা একসঙ্গে চলার কারণে অনেক প্রকাশনা সংস্থা কলকাতায় আসতে পারে না। গতবার মোট ৪০টি প্রকশনা প্রতিষ্ঠান কলকাতা বইমেলায় অংশ নিয়েছিল।

 

প্যাভিলিয়নের আয়তন বাড়ানো প্রসঙ্গে ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড সমস্ত রকম চেষ্টা করবে। আশা করছি উপ-হাইকমিশনারের কথা আমরা রাখতে পারব।  তবে জুলাইয়ের ঠিক কোন তারিখে কলকাতা বইমেলা শুরু হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। যেহেতু থিমকান্ট্রি বাংলাদেশ তাই সেখানকার আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কথা বলে দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। বিশেষত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কীভাবে সময় দিতে পারেন তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে। ২০১৯ সালে বইমেলা শুরু হয়েছিল ২৮ জানুয়ারি। শেষ হয়েছিল ৯ ফ্রেব্রুয়ারি। ১৩ দিনের মেলার থিমকান্ট্রি ছিল রাশিয়া। সেবারে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন হয়েছিল বিশ্বভারতীতে অবস্থিত বাংলাদেশ ভবনের আদলে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

এবারেও কলকাতা বইমেলার থিমকান্ট্রি বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০২:২২:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

করোনা পরিস্থিতির কারণে জুলাই মাসে হতে চলেছে ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। এবারের বইমেলায় থিমকান্ট্রি বাংলাদেশ। এই প্রথম কোনো দেশ কলকাতা বইমেলায় তৃতীয়বারের মতো থিমকান্ট্রি হতে চলেছে।
৪ জানুয়ারি কলকাতা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড। একই সঙ্গে গিল্ডের পক্ষ থেকে এবার ‘একুশে ভাষা উৎসব’ পালন করা হবে। এরসঙ্গে থাকবে কলকাতা লিটেরারি ফেস্টিভ্যাল।

 

গিল্ডের পক্ষ থেকে সভাপতি ত্রিদিব কুমার চ্যাটার্জি বলেন, যেহেতু চলতি বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং বাংলাদেশ-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কেরও ৫০ বছর। যা দুই দেশেরই গর্বের বিষয়। ফলে বাংলাদেশ-ভারতের সৌহার্দ্য বৃদ্ধির পরিকল্পনায় এবার থিমকান্ট্রি বাংলাদেশকে করা হবে বলে ঠিক হয়েছে।

 


সংস্থাটির সভাপতি বলেন, এই পরিকল্পনা গতবারই আমরা ঠিক করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছিলাম। তিনি আমাদের এ বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন। ফলে সেই সময় আমি এবং সাধারণ সম্পাদক শুধাংশু শেখর দে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম।

২০২০ ছিল সবার কাছে বিষাদময় সময়। এবার সরকারি রীতি মেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা ভালোর দিকে। জুলাই মাসের মধ্যে সম্ভবত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল পুরোপুরি শুরু হয়ে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি কলকাতাস্থ বাংলাদেশের উপ হাইকমিশন প্রধান তৌফিক হাসান বলেন, আমাদের কাছে খুশির খবর যে, আবারও বাংলাদেশ থিমকান্ট্রি হতে চলেছে। তবে গিল্ডের কাছে আবেদন রাখব, এবারে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের জন্য ৫ হাজার বর্গফুট জায়াগা দেওয়া হোক।

 

গত বছর বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের আয়তন ছিল সাড়ে তিন হাজার বর্গফুট। বাড়তি জায়গা আবেদনের কারণ হিসেবে তৌফিক হাসান বলেন, যে সময় কলকাতা বইমেলা শুরু হবে সেই সময় একুশে বইমেলা শেষ হয়ে যাবে। প্রতিবার দুই দেশে দুই মেলা একসঙ্গে চলার কারণে অনেক প্রকাশনা সংস্থা কলকাতায় আসতে পারে না। গতবার মোট ৪০টি প্রকশনা প্রতিষ্ঠান কলকাতা বইমেলায় অংশ নিয়েছিল।

 

প্যাভিলিয়নের আয়তন বাড়ানো প্রসঙ্গে ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড সমস্ত রকম চেষ্টা করবে। আশা করছি উপ-হাইকমিশনারের কথা আমরা রাখতে পারব।  তবে জুলাইয়ের ঠিক কোন তারিখে কলকাতা বইমেলা শুরু হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। যেহেতু থিমকান্ট্রি বাংলাদেশ তাই সেখানকার আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কথা বলে দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। বিশেষত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কীভাবে সময় দিতে পারেন তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে। ২০১৯ সালে বইমেলা শুরু হয়েছিল ২৮ জানুয়ারি। শেষ হয়েছিল ৯ ফ্রেব্রুয়ারি। ১৩ দিনের মেলার থিমকান্ট্রি ছিল রাশিয়া। সেবারে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন হয়েছিল বিশ্বভারতীতে অবস্থিত বাংলাদেশ ভবনের আদলে।