উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হলেও কেন অক্ষত থাকে ‘ব্ল্যাকবক্স’! জেনে নিন

- আপডেট সময় : ০৮:৩৬:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১ ২৮৮ বার পড়া হয়েছে
ছবি সংগ্রহ
সাগরের প্রায় ১৪ হাজার ফুট নিচ থেকেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংকেত পাঠাতে সক্ষম
উড়োজাহাজের ব্ল্যাকবক্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি এমন প্রযুক্তিতে তৈরি যা কিনা দুর্ঘটনার পরও উড়োজাহাজের ব্ল্যাকবক্স অক্ষত থাকে। দুর্ঘটনা পরবর্তী তথ্য-উপাত্থ এসব বক্স থেকেই উদ্ধার করা হয়। উড়োজাহাজটি চলার সময় বিভিন্ন তথ্য ধারণ করে রাখে। ব্ল্যাকবক্সের সংখ্যা এক বা ক্ষেত্রবিশেষে দুটি হয়।
একটি ককপিটে পাইলটদের কথোপকথন ধারণ করে। এটি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর) নামে পরিচিত। অপরটি উড়োজাহাজের চলাচলের বিভিন্ন তথ্য ধারণ করে থাকে। যা ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর) হিসেবে চিহ্নিত।
প্রচণ্ড তাপ, আঘাত বা চাপ সহিষ্ণু করে তৈরি করা ব্ল্যাকবক্স দুর্ঘটনায় উড়োজাহাজ ধ্বংস হয়ে গেলেও তা টিকে থাকে। সাগরে ডুবে গেলেও তথ্য ধারণ যন্ত্রগুলোর সচল থাকে। জলের নিচ থেকে যন্ত্রগুলো তাদের অবস্থানের স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংকেত পাঠাতে থাকে।
সাগরের প্রায় ১৪ হাজার ফুট নিচ থেকেও ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করা যায়। উদ্ধারের পর তথ্য বিশ্লেষণের জন্য যন্ত্রগুলো কোনো পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল ট্র্যান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের হেড অফিসে আছে অত্যাধুনিক কম্পিউটার। যা ব্ল্যাকবক্সের তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করে।
ব্ল্যাকবক্স সাধারণত যন্ত্রগুলোর রং কমলা হয়ে থাকে। উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার পর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পুড়ে কালো হয়ে যাবার কারণে সম্ভবত যন্ত্রটির নাম ব্ল্যাকবক্স।

ব্ল্যাকবক্সের ব্যবচ্ছেদ : সংগৃহীত
১৯৫০ সাল থেকে উড়োজাহাজে ব্ল্যাকবক্স রাখার নিয়মটি চালু রয়েছে। এক সময় টেপ রেকর্ডারে তথ্য ধারণ হতো। এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেশি তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। কোনো দুর্ঘটনা কবলিত উড়োজাহাজে বিধ্বস্ত
ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করে পাইলটদের শেষ মুহূর্তের কথাবার্তা, বিমানবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ, উড়োজাহাজ চালনার বিভিন্ন তথ্য জানা সম্ভব হয়। যন্ত্রগুলোতে ঘটনার পূর্ববর্তী অন্তত ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের কথোপকথন এবং প্রায় ৫০টি সূচকে ফ্লাইট ডেটা সংরক্ষিত থাকে।