ঢাকা ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উইঘুর মুসলমানদের কঠোর শ্রমে বাধ্য করছে চীন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২০ ৪৭০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক 

চীন তার পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াংয়ের বিশাল তুলার খেতগুলোতে এক লাখেরও বেশি উইঘুর এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের কঠোর শারীরিক শ্রমের জন্য বাধ্য করছে। অনলাইনে নতুন কিছু নথি ফাঁস হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, এ সব শ্রমিকের উৎপাদিত তুলা বিশ্বের তুলা সরবরাহের পাঁচ ভাগের এক ভাগ এবং ফ্যাশন শিল্পে বিশ্বব্যাপী এ তুলা ব্যবহৃত হয়। নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। চীনের বন্দী শিবিরের ১০ লাখেরও বেশি আটককৃতদের এ কাজে লাগানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোকে টেক্সটাইল কারখানায় কাজের জন্য জোর করার অভিযোগ ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে।

তবে চীন সরকার এ সব দাবি অস্বীকার করেছে। তাদের ভাষ্য, শিবিরগুলি ‘বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ স্কুল’ এবং কারখানাগুলো স্বেচ্ছাসেবী, ‘দারিদ্র্য বিমোচন’ প্রকল্পের অংশ। তবে নতুন পাওয়া প্রমাণ থেকে জানা যায়, প্রতিবছর প্রায় ৫ লাখ সংখ্যালঘু শ্রমিকদের মৌসুমি তুলা সংগ্রহে বাধ্য করা হচ্ছে। এ ছাড়া পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিবছর জোর করে কাজ করানোর প্রবণতা বাড়ছে। এ নথিগুলো উন্মোচন করেছেন ওয়াশিংটনের ভিকটিমস অব কমিউনিজম মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ফেলো ড. অ্যাড্রিয়ান জেনজ। তিনি বলেন, আমার দৃষ্টিতে এই নিদর্শনগুলো সত্যিই ঐতিহাসিক স্তরের। প্রথমবারের মতো আমাদের কাছে শুধুমাত্র তৈরি পোশাক শিল্প নয় এমনকি তুলা উৎপাদন শিল্পে সংখ্যালঘুদের কাজে বাধ্য ও নির্যাতন করার প্রমাণ রয়েছে। আমি মনে করি এটি একটি গেম-চেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে।

উল্লেখ্য, জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের ওপর এক দশক ধরে অত্যাচার চালাচ্ছে চীনা কমিউনিস্ট সরকার। চীনের সেনাবাহিনী ও পুলিশ উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার এবং ন্যূনতম স্বাচ্ছন্দ্যটুকুও কেড়ে নিয়েছে। নিজ ধর্ম পালনের অধিকারটুকুও তাদের নেই। বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

উইঘুর মুসলমানদের কঠোর শ্রমে বাধ্য করছে চীন

আপডেট সময় : ০৪:৩১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২০

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক 

চীন তার পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াংয়ের বিশাল তুলার খেতগুলোতে এক লাখেরও বেশি উইঘুর এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের কঠোর শারীরিক শ্রমের জন্য বাধ্য করছে। অনলাইনে নতুন কিছু নথি ফাঁস হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, এ সব শ্রমিকের উৎপাদিত তুলা বিশ্বের তুলা সরবরাহের পাঁচ ভাগের এক ভাগ এবং ফ্যাশন শিল্পে বিশ্বব্যাপী এ তুলা ব্যবহৃত হয়। নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। চীনের বন্দী শিবিরের ১০ লাখেরও বেশি আটককৃতদের এ কাজে লাগানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোকে টেক্সটাইল কারখানায় কাজের জন্য জোর করার অভিযোগ ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে।

তবে চীন সরকার এ সব দাবি অস্বীকার করেছে। তাদের ভাষ্য, শিবিরগুলি ‘বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ স্কুল’ এবং কারখানাগুলো স্বেচ্ছাসেবী, ‘দারিদ্র্য বিমোচন’ প্রকল্পের অংশ। তবে নতুন পাওয়া প্রমাণ থেকে জানা যায়, প্রতিবছর প্রায় ৫ লাখ সংখ্যালঘু শ্রমিকদের মৌসুমি তুলা সংগ্রহে বাধ্য করা হচ্ছে। এ ছাড়া পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিবছর জোর করে কাজ করানোর প্রবণতা বাড়ছে। এ নথিগুলো উন্মোচন করেছেন ওয়াশিংটনের ভিকটিমস অব কমিউনিজম মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ফেলো ড. অ্যাড্রিয়ান জেনজ। তিনি বলেন, আমার দৃষ্টিতে এই নিদর্শনগুলো সত্যিই ঐতিহাসিক স্তরের। প্রথমবারের মতো আমাদের কাছে শুধুমাত্র তৈরি পোশাক শিল্প নয় এমনকি তুলা উৎপাদন শিল্পে সংখ্যালঘুদের কাজে বাধ্য ও নির্যাতন করার প্রমাণ রয়েছে। আমি মনে করি এটি একটি গেম-চেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে।

উল্লেখ্য, জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের ওপর এক দশক ধরে অত্যাচার চালাচ্ছে চীনা কমিউনিস্ট সরকার। চীনের সেনাবাহিনী ও পুলিশ উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার এবং ন্যূনতম স্বাচ্ছন্দ্যটুকুও কেড়ে নিয়েছে। নিজ ধর্ম পালনের অধিকারটুকুও তাদের নেই। বিবিসি