আ. লীগ আমলের আর্থিক অপরাধ তদন্তে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত

- আপডেট সময় : ০৯:১৫:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ৪৫ বার পড়া হয়েছে
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে ২৮ উপায়ে দুর্নীতির মাধ্যমে ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবৈধভাবে পাচার হয়েছে
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে অর্থপাচার ও ব্যাংক থেকে বিপুল অংকের ঋণ নিয়ে আত্মসাতের বহুসংখ্যক অভিযোগ রয়েছে। একই গোষ্ঠী কমপক্ষে সাতটি ব্যাংকের মালিকানার দখল নিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে ব্যাংকগুলোকে দেউলিয়াত্বের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে।
শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে বিভিন্ন এইসব আর্থিক অপরাধের ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানান, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা পর্যালোচনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে ২৮ উপায়ে দুর্নীতির মাধ্যমে ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবৈধভাবে পাচার হয়েছে।
শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রতি বছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার অর্থ তছরূপ ও অবৈধভাবে পাচার হয়েছে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে শ্বেতপত্রে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধারাবাহিক ঋণ খেলাপের ঘটনা এবং বড় ধরনের কেলেঙ্কারিগুলো আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতাকে ধ্বংস করেছে এবং উৎপাদনশীল খাত থেকে পুঁজি অন্য দিকে সরিয়ে নিয়ে গেছে।
এছাড়া অভিবাসন খাতে গত এক দশকে প্রায় সাড়ে তের লাখ কোটি টাকা সরানো হয়েছে হুন্ডিতে লেনদেনের মাধ্যমে, যা মতিঝিল-উত্তরা মেট্রোরেল নির্মাণ খরচের চারগুণ।
উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আজকে উপদেষ্টা পরিষদে অনেকগুলো অধ্যাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে সরকারি হিসাব নিরীক্ষা অধ্যাদেশ, ব্যাংক রিজুলেশন অধ্যাদেশ ও রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ।